ভারত-ইজরায়েলের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী যৌথ মোর্চা: RAW কি মোসাদের মতো অপারেশন চালাবে?

ভারত-ইজরায়েলের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী যৌথ মোর্চা: RAW কি মোসাদের মতো অপারেশন চালাবে?

নয়াদিল্লিতে শুক্রবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রী ড. এস. জয়শঙ্কর ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত রুভেন আজারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যেখানে সীমান্ত পারের ইসলামি সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় যৌথ কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়। জয়শঙ্কর টুইটে বলেন, “ইজরায়েলের অটল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞ।” ১৯৯২ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে ভারত-ইজরায়েল সহযোগিতা ক্রমশ গভীর হয়েছে। ২০১৬ সাল নাগাদ ইজরায়েল ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রতিরক্ষা সরবরাহকারী হয়, বছরে ৬০০ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বাণিজ্যের মাধ্যমে। পহেলগাম হামলার পর এই সহযোগিতা আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে।

দুই দেশই ১৯৯০-এর দশক থেকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়ছে। কার্গিল যুদ্ধ, ২৬/১১ এবং পুলওয়ামা হামলার পর ইজরায়েল ভারতকে প্রযুক্তিগত সহায়তা, নজরদারি সরঞ্জাম এবং কৌশলগত পরামর্শ দিয়েছে। RAW এবং মোসাদের মধ্যে গোয়েন্দা বিনিময় এবং সন্ত্রাসবিরোধী প্রশিক্ষণ চলছে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ পি.কে. সহগল বলেন, “মোসাদের ‘র‍্যাথ অফ গড’-এর মতো RAW পাকিস্তানি সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে নিঃশব্দে অপারেশন চালাতে পারে।” ভবিষ্যতে একটি যৌথ টাস্ক ফোর্স (JTF) গঠনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না, যা ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’-এ অপারেশন চালাতে পারে।

পাকিস্তান সমর্থিত সন্ত্রাসবাদের মেরুদণ্ড ভাঙতে RAW-মোসাদ জুটি হাই-প্রিসিসন টার্গেটেড অপারেশন, সাইবার যুদ্ধ এবং হাওয়ালা নেটওয়ার্ক ধ্বংসের দিকে মনোনিবেশ করতে পারে। মোসাদের ‘ফলস ফ্ল্যাগ’ কৌশল এবং RAW-এর স্থানীয় গোয়েন্দা তথ্য মিলিয়ে পাকিস্তান বা পিওকে সন্ত্রাসীদের মধ্যে বিশ্বাসের সংকট তৈরি করা সম্ভব। তবে, ভারত-ইরান সম্পর্কের কারণে এই গুপ্ত যুদ্ধ অত্যন্ত সংবেদনশীল। I2U2-এর মতো বহুপাক্ষিক মঞ্চে সহযোগিতা অঞ্চলের স্থিতিশীলতা বাড়াবে। পহেলগামের মতো হামলার পর ভারত কী পদক্ষেপ নেবে, তা নিয়ে সাসপেন্স রয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *