জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে ২২ এপ্রিলের সন্ত্রাসী হামলার পর আন্তর্জাতিক আকাশসীমা বন্ধ হওয়ায় উড়ানে বিলম্ব যাত্রীদের জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘায়িত রুটের কারণে ফ্লাইটগুলি বেশি সময় নিচ্ছে এবং কিছু ক্ষেত্রে মাঝপথে অবতরণ করছে। এই পরিস্থিতিতে ভারত সরকার এয়ারলাইন্সগুলির জন্য নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে, যা যাত্রীদের সুবিধা নিশ্চিত করবে। নির্দেশে বলা হয়েছে, বিলম্বের কারণ, সময়কাল এবং অবতরণের তথ্য যাত্রীদের চেক-ইন, বোর্ডিং গেট এবং এসএমএস/ইমেলের মাধ্যমে জানাতে হবে। বিমানবন্দর কর্মকর্তা রাজেশ শর্মা বলেন, “এই নির্দেশ যাত্রীদের অসুবিধা কমাবে।”

সরকার এয়ারলাইন্সগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে পর্যাপ্ত জ্বালানি, অতিরিক্ত খাদ্য-পানীয় এবং প্রাথমিক চিকিৎসা কিট ফ্লাইটে রাখতে। জরুরি পরিস্থিতিতে গ্রাউন্ড অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখতে হবে। যদি বিলম্বের কারণে কোনও যাত্রীর সংযোগকারী ফ্লাইট মিস হয়, তবে এয়ারলাইন্সকেই তাঁর পরবর্তী ভ্রমণের ব্যবস্থা করতে হবে। নির্দেশে স্পষ্ট বলা হয়েছে, নিয়ম লঙ্ঘন করলে এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিমান চলাচল বিশেষজ্ঞ অমিত সিং বলেন, “এই পদক্ষেপ যাত্রীদের অধিকার রক্ষা করবে এবং এয়ারলাইন্সের জবাবদিহিতা বাড়াবে।”

পহেলগাম হামলার পর থেকে বিমানবন্দরে নিরাপত্তা তল্লাশি বেড়েছে, যা উড়ান বিলম্বের একটি কারণ। যাত্রীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশিকা জারি হয়েছে। দিল্লি বিমানবন্দরে অপেক্ষারত যাত্রী রমা মেহতা বলেন, “বিলম্বের তথ্য না পাওয়ায় আমরা বিপাকে পড়ি। এই নিয়ম স্বস্তি দেবে।” এই পদক্ষেপ যাত্রীদের অভিজ্ঞতা উন্নত করতে এবং জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ। তবে, এয়ারলাইন্সগুলির কাছে এই নির্দেশ বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ থাকবে।