পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে সিন্ধু নদীতে ছয়টি খাল নির্মাণের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ তীব্র আকার ধারণ করেছে। খায়রপুরের বাবরলোই বাইপাসে আইনজীবী, রাজনৈতিক নেতা ও নাগরিক সমাজের সংগঠনগুলোর নেতৃত্বে দুই লক্ষাধিক মানুষ প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন। করাচি বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমির নওয়াজ ওয়ারাইচ সতর্ক করে বলেছেন, “প্রকল্প বাতিলের বিজ্ঞপ্তি না হলে সিন্ধু বন্ধ করে দেওয়া হবে।” তিনি ফেডারেল সরকারকে দুই দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে রোহরিতে রেলপথ অবরোধের হুমকি দিয়েছেন।

জমিয়াত উলেমা-ই-ইসলাম-ফজলের নেতা আল্লামা রশিদ মাহমুদ সুমরো প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের খাল স্থগিত ও সাধারণ স্বার্থ পরিষদের বৈঠকের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেন, “প্রকল্প অনুমোদনে পরামর্শ না নিলেও বাতিলে কেন সিসিআই প্রয়োজন? এই নাটক মানব না।” বিক্ষোভের জেরে সুক্কুর-লারকানা ও বাহাওয়ালপুরে ১৫,০০০-এর বেশি ট্রাক ও ট্যাঙ্কার আটকে পড়েছে, যা সরবরাহ শৃঙ্খলে মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি করে গণমাধ্যমে গত সপ্তাহ থেকে খায়রপুর জেলার বাবরলোই বাইপাসে আইনজীবী, রাজনৈতিক দল এবং বেশ কয়েকটি নাগরিক সমাজের সংগঠন তাদের অবস্থান বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে।

এই আন্দোলন পাকিস্তানের অর্থনীতি ও পরিবহন ব্যবস্থায় গুরুতর প্রভাব ফেলছে। পরিবহন পণ্য সমিতির সভাপতি তারিক গুজ্জর জানান, “সুক্কুর-লারকানা থেকে বাহাওয়ালপুর পর্যন্ত পণ্য পরিবহন অচল।” বিক্ষোভকারীদের দাবি, খাল প্রকল্প সিন্ধু নদীর জল সরবরাহ ও পরিবেশের ক্ষতি করবে। সরকারের নীরবতা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করছে।