পাহেলগাম হামলায় ধর্মীয় নৃশংসতার ছায়া, তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য

পাহেলগামে ২২ এপ্রিলের ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার তদন্তে উঠে এসেছে নৃশংস বিবরণ। ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক, বেশিরভাগ পর্যটক, নিহতের ঘটনায় তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ২০ জন পুরুষের প্যান্ট বা জিপার খোলা অবস্থায় পাওয়া গেছে। হামলাকারীরা ধর্মীয় পরিচয় শনাক্তে খৎনা পরীক্ষা ও ইসলামী কলমা পাঠে বাধ্য করেছিল। ব্যর্থদের, প্রায় সকলেই হিন্দু, কাছ থেকে হত্যা করা হয়। “এটি পরিকল্পিত ধর্মীয় লক্ষ্যবস্তু,” বলেন জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এক কর্মকর্তা।
ভারতীয় সেনা, পুলিশ ও প্রশাসনের তদন্তে ৭০ জন সন্দেহভাজন ওভারগ্রাউন্ড কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বৈসরন মেডোতে উচ্চ নিরাপত্তা সত্ত্বেও হামলাকারীরা চেকপয়েন্ট এড়িয়ে সমন্বিত আক্রমণ চালায়, যা গোয়েন্দা ব্যর্থতার প্রশ্ন তুলেছে। বিশ্লেষক ড. সুভাষ শর্মা বলেন, “এই হামলা আঞ্চলিক নিরাপত্তার ঘাটতি উন্মোচন করেছে।”
২০১৯-এর ৩৭০ ধারা বাতিলের পর এটি কাশ্মীরের সবচেয়ে মর্মান্তিক হামলা। তদন্ত এখন হামলার পরিকল্পনা, অনুপ্রবেশের পথ ও স্থানীয় সহায়তার নেটওয়ার্ক উদঘাটনে মনোনিবেশ করেছে। এই ঘটনা কাশ্মীরে ধর্মীয় উত্তেজনা ও নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের নতুন মাত্রা তুলে ধরছে।