মদে ডুবে ক্রিকেটারদের জীবন! গিবস, কাম্বলি, রাইডারের গল্প

ক্রিকেট মাঠে দাপট দেখানো কিছু তারকা মদ্যপানের আসক্তিতে জীবনের ইনিংসে হেরে গেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার হার্শেল গিবস, ভারতের বিনোদ কাম্বলি ও নিউজিল্যান্ডের জেসি রাইডারের গল্প এই অন্ধকার দিকটি তুলে ধরে। প্রতিদিন ১০ বোতল মদ ও প্রতি ঘণ্টায় এক পেগের আসক্তি তাদের ক্যারিয়ার ও জীবনকে গ্রাস করেছে।
গিবস তার আত্মজীবনীতে স্বীকার করেছেন, ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৭৫ রানের ঐতিহাসিক ইনিংসটি তিনি হ্যাংওভার নিয়ে খেলেছিলেন। “রাতভর মদ্যপানের পরও আমি মাঠে নেমেছিলাম,” বলেন গিবস। অন্যদিকে, কাম্বলি ২১ বছর বয়সে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরি করলেও মদ্যপানে ডুবে ক্যারিয়ার নষ্ট করেন। তিনি বলেন, “মদ আমার সবচেয়ে বড় দুর্বলতা ছিল।” রাইডার ২০১৩ সালে কোমা থেকে ফিরেও মদ ছাড়েননি। ক্রাইস্টচার্চে হামলার পরও তিনি সেঞ্চুরি করলেও আসক্তি তাকে ছাড়েনি।
এই ক্রিকেটারদের গল্প খেলাধুলায় আসক্তির ধ্বংসাত্মক প্রভাব তুলে ধরে। বিশ্লেষকদের মতে, মানসিক স্বাস্থ্য ও পুনর্বাসনের অভাব এই তারকাদের পতন ত্বরান্বিত করেছে। ক্রীড়া সংস্থাগুলোর উচিত খেলোয়াড়দের এই ধরনের সমস্যা থেকে রক্ষায় উদ্যোগ নেওয়া।