১৯৭১-এর ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ভারতীয় নৌবাহিনীর এক অভিনব কৌশল আজও আলোচিত। যুদ্ধের মাঝে শত শত কনডম অর্ডার করে লিম্পেট মাইনের টাইমারকে জল থেকে রক্ষা করা হয়েছিল। এই ‘জুগাড়’ চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তানি জাহাজ ধ্বংসে মুখ্য ভূমিকা পালন করে, যা বাংলাদেশের স্বাধীনতার পথ প্রশস্ত করেছিল।

লিম্পেট মাইনের টাইমার জলতে নষ্ট হওয়ার ঝুঁকিতে ছিল, যা অভিযান ব্যর্থ করতে পারত। ভারতীয় নৌবাহিনী কনডম ব্যবহার করে টাইমারকে জলরোধী করে, ডুবুরিদের নিরাপদে মাইন স্থাপনের সময় দিয়েছিল। নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন রমেশ সিং বলেন, “এই সহজ সমাধান আমাদের অভিযানে বড় সাফল্য এনেছিল।” এছাড়া, সৈন্যরা বাংলাদেশের জলাভূমিতে রাইফেলের ব্যারেলে কনডম ব্যবহার করে অস্ত্রকে কাদা ও জল থেকে রক্ষা করত। এই কৌশল পাকিস্তানের সরবরাহ লাইন ভেঙে দেয়।

বিশ্লেষকদের মতে, এই উদ্ভাবনী কৌশল ভারতীয় সেনাবাহিনীর সৃজনশীলতা ও পরিস্থিতি মোকাবিলার ক্ষমতা প্রদর্শন করে। ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১-এ পাকিস্তানের ৯৩,০০০ সৈন্যের আত্মসমর্পণের পেছনে এমন কৌশলগত উদ্ভাবন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এই ঘটনা প্রতিরক্ষা কৌশলের ইতিহাসে এক অনন্য অধ্যায়।