হোস্টেলে পড়ুয়ার পেটে তীব্র যন্ত্রণা, চিকিৎসকের রিপোর্টে ফাঁস অবিশ্বাস্য ঘটনা

মধ্যপ্রদেশের শিবপুরীতে একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। মায়াপুর থানা এলাকার একটি গ্রামের ১৫ বছরের এক নাবালিকা ছাত্রী, যিনি সরকারি হোস্টেলে থেকে নবম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছেন, তার উপর গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। দুই মাস আগে পিপরৌদা আলম গ্রামের দুই যুবক, বিবেক যাদব এবং জিতেন্দ্র চান্দেল, ফোন ও মেসেঞ্জারের মাধ্যমে মেয়েটির সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তুলেছিল। তারা তাকে একটি নার্সারিতে দেখা করতে ডেকেছিল, যেখানে মেয়েটিকে নেশাজাতীয় পদার্থ খাইয়ে গণধর্ষণ করা হয়। ভয়ে তখন সে কাউকে কিছু বলেনি।
ঘটনার দুই মাস পর হোস্টেলে থাকাকালীন মেয়েটির পেটে তীব্র যন্ত্রণা শুরু হয়। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা জানান, সে দুই মাসের গর্ভবতী। এই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশের পর মেয়েটি তার পরিবারের কাছে নিজের উপর ঘটে যাওয়া নৃশংসতার কথা খুলে বলে। “আমি ভয়ে কাউকে কিছু বলতে পারিনি। ওরা আমাকে হুমকি দিয়েছিল,” বলে কান্নায় ভেঙে পড়ে সে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে এবং একজনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে।
এই ঘটনা স্থানীয় সমাজে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। হোস্টেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। স্থানীয় বাসিন্দা রমেশ শর্মা বলেন, “এটা লজ্জাজনক। মেয়েদের নিরাপত্তার জন্য আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।” পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে এবং অন্য অভিযুক্তকে শীঘ্রই গ্রেপ্তার করা হবে। এই ঘটনা নাবালিকাদের নিরাপত্তা এবং সামাজিক মাধ্যমের অপব্যবহার নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।