উত্তর-পূর্ব দিল্লির ভজনপুরার সুভাষ মহল্লায় শুক্রবার রাতে একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড শহরকে স্তম্ভিত করেছে। ২৮ বছরের যুবক শাকিরকে কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি নির্মমভাবে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে। শাকির সুভাষ মহল্লার বাসিন্দা ছিলেন এবং দোনা ও পেপার প্লেট তৈরির ব্যবসায় জড়িত ছিলেন। পুলিশ তদন্তে জানিয়েছে, শাকিরের সঙ্গে হত্যাকারীদের কোনো পূর্ব পরিচয়, শত্রুতা বা ব্যক্তিগত রাগ ছিল না। তবুও এই হত্যাকাণ্ডের পেছনের কারণ শুনে সকলেই হতবাক।

পুলিশ এই মামলার তদন্তে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে ছয়জন নাবালিগকে হেফাজতে নিয়েছে। এই অভিযুক্তদের বয়স ১৩ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, তারা অপরাধ জগতে নিজেদের নাম ও পরিচিতি তৈরি করতে এই জঘন্য হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। “এই ঘটনা কিশোর অপরাধের ক্রমবর্ধমান প্রবণতা এবং তাদের মানসিকতার উপর গভীর প্রশ্ন তুলেছে,” বলেন সমাজবিজ্ঞানী ড. রিনা শর্মা। পুলিশ অভিযুক্তদের নির্দেশে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করেছে এবং ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা ৫-এর অধীনে মামলা দায়ের করেছে।

শুক্রবার রাত ৯:৩১-এ পুলিশকে একজন আহত ব্যক্তির রাস্তায় পড়ে থাকার খবর দেওয়া হয়। তবে পুলিশ পৌঁছানোর আগেই স্থানীয়রা শাকিরকে জিটিবি হাসপাতালে নিয়ে যায়, যেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশের ক্রাইম টিম এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ সংগ্রহ করেছে। এই ঘটনা কিশোর অপরাধের ক্রমবর্ধমান সমস্যা এবং সমাজে সচেতনতার প্রয়োজনীয়তার দিকে ইঙ্গিত করে।