পাহলগাম হামলায় পাক পরিবারের নাগরিকত্ব নিয়ে উদ্বেগ

২৫ বছর ভারতে পাক পরিবার, পাহলগাম হামলার পর নাগরিকত্ব নিয়ে দুশ্চিন্তা
চণ্ডীগড়: হরিয়ানার ফতেহাবাদের রতিয়া গ্রামে ৩৪ সদস্যের এক পাকিস্তানি পরিবার বাস করে। ২০০০ সালে পাকিস্তান থেকে ভারতে আসা এই পরিবারের প্রধান ডবায়া রাম জানান, “আমরা ২৫ বছর ধরে ভারতের নাগরিকত্বের জন্য চেষ্টা করছি।” পাকিস্তানে বেনজির ভুট্টোর সরকারে সাংসদ থাকা ডবায়া এখন রতনগড়ে কুলফি বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তিনি বলেন, “ভারতে আমরা সব ধরনের সাহায্য পেয়েছি, জীবন ভালো কাটছে।” তবে পাহলগাম হামলার পর নাগরিকত্ব নিয়ে উদ্বেগ তাঁদের ঘিরে ধরেছে। পর্যটন সংকটের এই সময়ে তাঁদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।
পরিবারের ৬ জন, যার মধ্যে দুই মহিলা, ইতিমধ্যে ভারতের নাগরিকত্ব পেয়েছেন। বাকি ২৮ জনের আবেদন এখনও বিচারাধীন। পাহলগামে ২২ এপ্রিলের হামলার পর পাক নাগরিকদের চিহ্নিত করতে পুলিশ তৎপর হয়েছে, যা এই পরিবারের দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে। ডবায়া জানান, তাঁরা ২০০০ সালে এক মাসের ভিসায় ভারতে এসেছিলেন। পরে ভিসা বাড়িয়ে প্রতি বছর, তারপর পাঁচ বছরের জন্য নবায়ন করেছেন। তবে নাগরিকত্বের অপেক্ষা এখনও শেষ হয়নি। পাকিস্তানে তাঁদের পৈতৃক জমি এখনও রয়েছে, যা তাঁর দাদার নামে।
হামলার পর ভারত সরকার পাক নাগরিকদের ২৭ এপ্রিলের মধ্যে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ডবায়ার পরিবারের মতো অনেকে আশঙ্কায় রয়েছেন। তবে সরকার দীর্ঘমেয়াদি ভিসাধারী হিন্দু পাক নাগরিকদের জন্য ছাড়ের কথা জানিয়েছে। এক স্থানীয় কর্মকর্তা বলেন, “এই পরিবারের মতো যারা বছরের পর বছর ভারতে বসবাস করছেন, তাঁদের মানবিক দিক বিবেচনা করা হবে।” তবুও, পর্যটন সংকট ও কঠোর নীতির মধ্যে এই পরিবারের নাগরিকত্বের আবেদন কী ভাগ্যে হবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।