জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলায় প্রথমবারের মতো ভারতীয় সেনার হাতে ধরা পড়েছে একটি পাকিস্তানি ড্রোন। এই ঘটনা ঘটেছে রবিবার ভোরে, যখন সীমান্তবর্তী এলাকায় নজরদারি চালাচ্ছিলেন সেনারা। সেনা সূত্রে জানা গেছে, ড্রোনটি পাকিস্তান থেকে ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশ করেছিল এবং এটির সঙ্গে সন্দেহজনক উপকরণ পাওয়া গেছে। এই ঘটনার পর থেকে পুঞ্চ ও রাজৌরি জেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ এবং জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। একজন সেনা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “ড্রোনটি পাকিস্তান থেকে অস্ত্র বা নিষিদ্ধ উপকরণ সরবরাহের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।” তদন্তকারী দল এখন ড্রোনের উৎপত্তি এবং এর উদ্দেশ্য নিয়ে গভীরভাবে খতিয়ে দেখছে। সন্দেহ করা হচ্ছে, এটি সীমান্তে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে।

এই ঘটনা সীমান্তে উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্বিগ্ন হলেও সেনা তাদের নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছে। একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “আমরা এই ধরনের ঘটনায় ভয় পাই, কিন্তু সেনার উপস্থিতি আমাদের সান্ত্বনা দেয়।” সেনা এবং বিএসএফ এখন সীমান্তে নজরদারি আরও কঠোর করেছে এবং ড্রোনের মাধ্যমে অনুপ্রবেশ রোধে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে।

এই ঘটনা এমন সময়ে ঘটল যখন জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলি ড্রোনের মাধ্যমে অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহের চেষ্টা করছে। তবে, ভারতীয় সেনার তৎপরতার কারণে এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। তদন্তের ফলাফলের উপর নির্ভর করে এই ঘটনা ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।