পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জনের মৃত্যুর পর কর্ণাটকের আবগারি মন্ত্রী আরবি টিম্মাপুরের মন্তব্য বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। তিনি বলেন, “সন্ত্রাসীরা গুলি করার আগে ধর্ম জিজ্ঞাসা করেনি। যে গুলি করে, সে জাত-ধর্ম জানতে দাঁড়ায় না।” তিনি অভিযোগ করেন, এই হামলাকে ধর্মীয় ইস্যু হিসেবে চিত্রিত করার “ষড়যন্ত্র” চলছে। তবে, নিহতদের পরিবার দাবি করেছে, সন্ত্রাসীরা হিন্দুদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে।

বিজেপি মুখপাত্র সিআর কেশবন এই মন্তব্যকে “বর্বর” বলে নিন্দা করেছেন। “টিম্মাপুরের কথা শোকাহত পরিবার ও নিহতদের অপমান করেছে। কংগ্রেস তুষ্টিকরণের রাজনীতি করছে,” তিনি বলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, “সন্ত্রাসীরা ভারতের আত্মাকে আক্রমণ করেছে। অপরাধীরা কল্পনাতীত শাস্তি পাবে।” ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জল চুক্তি ও ভিসা পরিষেবা স্থগিত করেছে।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই বিতর্ক কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তাকে জটিল করছে। রাহুল গান্ধী সরকারের পদক্ষেপে সমর্থন জানালেও, সিদ্দারামিয়া বলেন, “যুদ্ধ সমাধান নয়। পর্যটকদের নিরাপত্তায় ব্যর্থতা হয়েছে।” এই ঘটনা ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।