ঘোটালার পর কফির আড্ডায় ব্র্যাডি হাউস, চলছে তদন্ত

ঘোটালার পর কফির আড্ডায় ব্র্যাডি হাউস, চলছে তদন্ত

মুম্বইয়ের ফোর্ট এলাকায় পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের (পিএনবি) ব্র্যাডি হাউস শাখা, যেখানে নীরব মোদী ও তার মামা মেহুল চোকসি ১৩,০০০ কোটি টাকার ঘোটালা করেছিলেন, এখন একটি আধুনিক ক্যাফেতে রূপান্তরিত হয়েছে। একসময়ের এই কেলেঙ্কারির কেন্দ্রে এখন গ্রাহকরা আরামদায়ক চেয়ারে বসে জৈব কফির স্বাদ নিচ্ছেন, পটভূমিতে বাজছে হালকা সঙ্গীত। ২০১১ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে মোদী ও চোকসি ব্যাঙ্কের কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে জাল লেটার অব আন্ডারটেকিং (এলওইউ) ও ফরেন লেটার অব ক্রেডিট (এফএলসি) ব্যবহার করে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেছিলেন। একজন দর্শক বলেন, “এই জায়গার অতীত ভুলে এখন এখানে শান্তির পরিবেশ।”

২০১৮ সালের জানুয়ারিতে পিএনবি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ায় প্রতারণার রিপোর্ট জমা দিয়ে সিবিআইয়ে অভিযোগ দায়ের করলে ঘোটালির পর্দা ফাঁস হয়। এর আগেই মোদী ও চোকসি দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন। সিবিআই ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) তদন্ত শুরু করে। ২০১৯ সালের মার্চে লন্ডনে মোদীকে গ্রেপ্তার করা হয়, এবং তিনি এখনও সেখানে কারাগারে। গত ১২ এপ্রিল ভারতের প্রত্যর্পণের অনুরোধে বেলজিয়ামে চোকসি গ্রেপ্তার হন। তবে ব্র্যাডি হাউসের কার্যক্রম পিএনবি হাউসে স্থানান্তরিত হয়েছে, এবং পুরোনো ভবনটি ভাড়া দেওয়া হয়েছে ক্যাফের জন্য।

এই রূপান্তর সত্ত্বেও ঘোটালির তদন্তে নতুন মোড় এসেছে। চোকসির গ্রেপ্তারি ব্র্যাডি হাউসকে আবার আলোচনায় এনেছে, কিন্তু এর বর্তমান ক্যাফে রূপে কোনো প্রভাব পড়েনি। তদন্তে দেখা গেছে, ব্যাঙ্কের সুইফট সিস্টেমের দুর্বলতা এবং ত্রুটিপূর্ণ তদারকির কারণে এই প্রতারণা সম্ভব হয়েছিল। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ঘটনা ভারতের ব্যাঙ্কিং খাতে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *