পাকিস্তানের পারমাণবিক হুমকি: ভয়ের ছায়ায় ইসলামাবাদ

ইসলামাবাদ, ২৮ এপ্রিল ২০২৫: পহেলগামে নিরস্ত্র পর্যটকদের উপর সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতের কঠোর অবস্থানে কাঁপছে পাকিস্তান। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘মন কি বাত’-এ বলেছেন, “পীড়িত পরিবারগুলোকে আমি আশ্বাস দিচ্ছি, তাঁরা ন্যায় পাবেন। এই হামলার দোষী ও ষড়যন্ত্রকারীদের কঠোর জবাব দেওয়া হবে।” এই স্পষ্ট হুঁশিয়ারিতে পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্বের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, সেনাপ্রধান আসিম মুনির থেকে শুরু করে মন্ত্রী ও কট্টরপন্থী নেতারা বারবার পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি দিচ্ছেন।
পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী হানিফ আব্বাসি বলেছেন, “আমাদের জল বন্ধ করলে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হোন। গৌরী, শাহীন, গজনবী শুধু প্রদর্শনের জন্য নয়, ভারতের জন্য রাখা হয়েছে। আমাদের ১৩০টি পারমাণবিক অস্ত্র কেবল মডেল নয়।” এই হুমকির পাশাপাশি পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ জানিয়েছেন, “আমাদের নিরাপত্তা সংস্থা ও সেনাবাহিনী উচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। কোনো ভুলের সুযোগ নেই।” তবে এই বক্তব্যে ভয়ের ছাপ স্পষ্ট। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নকভি দাবি করেছেন, “আমরা যুদ্ধের জন্য শতভাগ প্রস্তুত। আমরা যুদ্ধজাত জাতি, প্রয়োজনে প্রত্যেকে লড়বে।”
পাকিস্তানের ভয় আরও প্রকট হয়েছে তাদের সামরিক পদক্ষেপে। লাইন অব কন্ট্রোলে (এলওসি) গত তিন দিনে তিনবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান। ২৫ থেকে ২৭ এপ্রিল চম্বা-উড়ি, বারামুল্লা-নওগাম ও লিপা-নীলম উপত্যকায় গোলাগুলি চালিয়েছে তারা। প্রতিবারই ভারতীয় সেনাবাহিনী দশগুণ শক্তি দিয়ে জবাব দিয়েছে, পাকিস্তানের একাধিক চৌকি ধ্বংস হয়েছে। এদিকে, পাকিস্তানে যুদ্ধের আতঙ্কে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সামরিক জেনারেলরা তাদের পরিবারকে বিদেশে পাঠাচ্ছেন। পাকিস্তানের এই হুমকি ও আতঙ্কের মূলে রয়েছে পহেলগাম হামলায় তাদের সুস্পষ্ট ভূমিকা, যা ভারত কঠোরভাবে মোকাবিলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।