পাহাড়গাম হামলার জবাবে তিন শক্তিশালী স্ট্রাইক, আতঙ্কবাদীদের মাথা নিশ্চিহ্ন

নয়াদিল্লি, ২৮ এপ্রিল ২০২৫: গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পাহাড়গামে আতঙ্কবাদীরা ২৫ পর্যটক ও এক স্থানীয় বাসিন্দাকে গুলি করে হত্যা করে। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর এটি কাশ্মীর উপত্যকার সবচেয়ে ভয়াবহ আতঙ্কী হামলা। এর আগে ২০১৬-তে উরি সেনা শিবিরে হামলার জবাবে ভারত সার্জিকাল স্ট্রাইক এবং ২ ০১৯-এ পুলওয়ামার পর বালাকোট এয়ার স্ট্রাইক চালিয়েছিল। পাহাড়গাম হামলার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মধুবনীতে এবং ‘মন কি বাত’-এ বলেন, “এই হামলার দোষীদের কোনওভাবেই রেহাই দেওয়া হবে না।” ভারত সিন্ধু জল চুক্তি বাতিল করেছে, পাকিস্তানি নাগরিকদের ফেরত পাঠিয়েছে এবং কূটনৈতিক উপস্থিতি কমিয়েছে।
এই হামলার জবাবে ভারত সরকার আতঙ্কীদের ফান্ডিংয়ের মূল উৎস—মাদক পাচার, ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং ক্রাউডফান্ডিং—এর উপর তিনটি শক্তিশালী স্ট্রাইকের পরিকল্পনা করছে। জেনারেল অফ ডিফেন্স স্টাডিজ অনুসারে, বিশ্বব্যাপী ৬৫০ বিলিয়ন ডলারের মাদক ব্যবসার একটি অংশ আতঙ্কবাদীদের হাতে যায়। তালিবান বছরে ৪০০ মিলিয়ন ডলার আফিম ব্যবসা থেকে আয় করে। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উগ্রপন্থী গোষ্ঠীগুলো মিয়ানমার-থাইল্যান্ড সংযোগের মাধ্যমে মাদক পাচার থেকে ফান্ডিং পায়। এই নেটওয়ার্ক ভাঙতে কঠোর নজরদারি ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জরুরি।
ক্রিপ্টোকারেন্সির অপব্যবহারও বাড়ছে। এফএটিএফ-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩-এ আতঙ্কী গোষ্ঠী ক্রিপ্টোর মাধ্যমে ৭৫০ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করেছে। হামাস ও প্যালেস্টাইন ইসলামিক জিহাদের ওয়ালেটে যথাক্রমে ৪১ মিলিয়ন ও ৯৩ মিলিয়ন ডলার এসেছে। পাহাড়গাম হামলায় হামাসের শৈলীর প্রভাব দেখা গেছে, এবং পিওকে তিনজন হামাস আতঙ্কী সক্রিয় ছিল বলে জানা গেছে। এফএটিএফ-এর ২০২৩-২৪ রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২২-তে ৬ লক্ষাধিক ক্রাউডফান্ডিং অভিযানের মধ্যে কিছু আতঙ্কী কার্যকলাপের জন্য অর্থ সংগ্রহ করেছে। পাকিস্তান ও তাজিকিস্তানে আইএসআইএস-সমর্থক গোষ্ঠী এই পথ ব্যবহার করছে। এই তিন ক্ষেত্রে কঠোর পদক্ষেপ পাকিস্তানের আতঙ্কী কারখানার মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে।