ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: হাজার হাজার পাকিস্তানি এখনো ভারতে, কী হবে পরবর্তী পদক্ষেপ?

নয়াদিল্লি, ২৮ এপ্রিল ২০২৫: জম্মু-কাশ্মীরের পাহাড়গামে ২২ এপ্রিলের ভয়াবহ আতঙ্কী হামলার পর ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে এবং সব পাকিস্তানি নাগরিককে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। এই নির্দেশে অটারি-ওয়াঘা সীমান্তে প্রচণ্ড ভিড় দেখা গেছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দিল্লিতে ৫,০০০-এর বেশি, মুম্বাই ও উত্তরপ্রদেশে প্রায় ২,০০০ পাকিস্তানি নাগরিক ছিলেন। কিন্তু প্রথম ডেডলাইন ২৭ এপ্রিল শেষ হওয়ার পর মাত্র ৫৩৭ জন পাকিস্তানি ফিরেছেন। অন্যদিকে, ১,৩৮৭ ভারতীয়, যার মধ্যে কয়েকজন কূটনীতিক ও আধিকারিক রয়েছেন, পাকিস্তান থেকে ফিরেছেন।
২৯ এপ্রিল মেডিকেল ভিসাধারীদের জন্য দ্বিতীয় ডেডলাইন। মাত্র ২৪ ঘণ্টা বাকি থাকায় হাজার হাজার পাকিস্তানিকে ফেরানোর চ্যালেঞ্জ রয়েছে। ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো দিল্লিতে ৫,০০০ পাকিস্তানির তালিকা পুলিশকে দিয়েছে। উত্তরপ্রদেশে ১,৮০০, মুম্বাইয়ে ২,০০০ এবং উত্তরাখণ্ডে ২৫০ জনের উপস্থিতি জানা গেছে। রাজ্য সরকারগুলো তদন্ত ত্বরান্বিত করেছে, কিন্তু অনেকে এখনও লুকিয়ে থাকতে পারেন। ডেডলাইন অতিক্রম করলে তাদের অবৈধ ঘোষণা করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যার মধ্যে ৩ বছরের জেল ও ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা অন্তর্ভুক্ত।
এই পরিস্থিতি মানবিক দ্বন্দ্বও তৈরি করেছে। অটারি সীমান্তে পাকিস্তানি পরিবারগুলো বিচ্ছেদের বেদনায় কাতর। এক পাকিস্তানি নাগরিক শেখ ফজল আহমেদ বলেন, “আমরা ৪৫ দিনের ভিসায় এসেছিলাম, কিন্তু পাহাড়গাম হামলার পর ফিরতে হচ্ছে। এটা ভুল, আমরা দুই দেশের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব চাই।” সরকারের কঠোর পদক্ষেপ, যেমন সিন্ধু জল চুক্তি বাতিল ও পাকিস্তানি কূটনীতিকদের বহিষ্কার, আতঙ্কী হামলার বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থানের ইঙ্গিত দেয়। তবে, অবৈধ পাকিস্তানিদের চিহ্নিত করা এবং ফেরানোর কাজ এখনও বড় চ্যালেঞ্জ।