কেন ইন্দিরা গান্ধী ফিরে এলেন আলোচনায়?

কেন ইন্দিরা গান্ধী ফিরে এলেন আলোচনায়?

জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে ২৬ জনের প্রাণহানির সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে উত্তেজনা তুঙ্গে। ভারত সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত ও পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিলসহ কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রতিক্রিয়ায়, পাকিস্তান ১৯৭২-এর সিমলা চুক্তি স্থগিত করে, যা ইন্দিরা গান্ধী ও জুলফিকার আলী ভুট্টো স্বাক্ষর করেছিলেন। এই ঘটনা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরাকে সোশ্যাল মিডিয়া ও রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে।

তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি হায়দ্রাবাদে মোমবাতি মিছিলে বলেন, “ইন্দিরাজি ১৯৭১-এ পাকিস্তানকে দ্বিখণ্ডিত করে উপযুক্ত জবাব দিয়েছিলেন।” শিবসেনা (ইউবিটি) নেতা সঞ্জয় রাউত এক্স-এ লিখেছেন, “দেশ আজ ইন্দিরার অভাব বোধ করছে।” তবে, বিজেপি মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদী প্রশ্ন তুলে বলেন, “ইন্দিরার সময় প্রধানমন্ত্রীকে বাড়িতে হত্যা করা হয়েছিল। সেটাই কি বড় নিরাপত্তা ত্রুটি নয়?” সোশ্যাল মিডিয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “ইন্দিরা থাকলে পাকিস্তান আগামীকালের সূর্য দেখত না।”

সিমলা চুক্তি ১৯৭১-এর যুদ্ধের পর শান্তি ও দ্বিপাক্ষিক সমাধানের ভিত্তি স্থাপন করেছিল, নিয়ন্ত্রণ রেখা (LoC) গঠন করে। বিশ্লেষকদের মতে, চুক্তির স্থগিতকরণ LoC-তে উত্তেজনা বাড়াতে পারে। পাকিস্তান কাশ্মীর ইস্যু আন্তর্জাতিকীকরণের চেষ্টা করতে পারে, যা ভারতের দ্বিপাক্ষিক নীতির বিরুদ্ধে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *