হজে পাকিস্তানের ৬৭,০০০ তীর্থযাত্রী বাদ, সৌদির কঠোর সিদ্ধান্ত

ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের জন্য দুঃসংবাদের ঝড় অব্যাহত। ভারতের পহেলগাঁও হামলার পর পাকিস্তানের ওপর চাপ বাড়ার মধ্যেই সৌদি আরব তাদের হজ নীতিতে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। সৌদি সরকার মে মাসে শুরু হতে যাওয়া হজ ২০২৫-এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, কিন্তু এবার প্রায় ৬৭,০০০ পাকিস্তানি বেসরকারি তীর্থযাত্রী হজে যেতে পারবেন না। এই সিদ্ধান্ত এমন সময়ে এলো যখন পাকিস্তান ২৯ এপ্রিল ইসলামাবাদ থেকে প্রথম হজ ফ্লাইট চালু করতে প্রস্তুত। “এই নিষেধাজ্ঞা পাকিস্তানের তীর্থযাত্রীদের জন্য মর্মান্তিক,” বলেছেন ধর্মীয় বিষয়ক বিশ্লেষক আলি হাসান।
পাকিস্তানের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বেসরকারি হজ প্রোগ্রামের অধীনে ৯০,৮৩০ তীর্থযাত্রীর মধ্যে মাত্র ২৩,৬২০ জনই এবার হজে যেতে পারবেন। এর মানে, প্রতি চারজনের মধ্যে তিনজন বাদ পড়বেন। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটি এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি করতে পারেনি। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও সৌদি সরকারের কাছ থেকে কোনো বিশেষ ছাড় আদায় করতে ব্যর্থ হয়েছে। “এই ব্যর্থতা সরকারের নীতির দুর্বলতার প্রতিফলন,” বলেছেন ইসলামাবাদের একজন ধর্মীয় নেতা মোহাম্মদ ফয়েজ।
এদিকে, সৌদি আরবের এই পদক্ষেপ পাকিস্তানের জন্য আরেকটি ধাক্কা। হজে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পাকিস্তানের কোটা সাধারণত ১১% হলেও, এবার বেসরকারি তীর্থযাত্রীদের জন্য সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে। ২৯ এপ্রিল প্রথম ফ্লাইটে ৩৯৩ তীর্থযাত্রী মক্কার উদ্দেশে রওনা হবেন, কিন্তু বাকি ৬৭,২১০ জনের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। এই ঘটনা পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি সৌদির কঠোর নীতির ইঙ্গিত দেয়।