নয়াদিল্লি: জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ২২ এপ্রিলের ভয়াবহ হামলার পর ভারত পাকিস্তানি নাগরিকদের ফেরত পাঠাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান থেকে প্রেমিক সচিনের জন্য ভারতে আসা সীমা হায়দার আবারও আলোচনায়। তার প্রাক্তন স্বামী গোলাম হায়দার একটি ভিডিওতে বিস্ফোরক দাবি করে বলেছেন, “সীমা দুই বছর ধরে অবৈধভাবে ভারতে থাকছে। আমার চার সন্তান পাকিস্তানি, তাদের ফেরত পাঠানো হোক।” তিনি সীমা ও তার আইনজীবী এপি সিংহের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

গোলাম হায়দার অভিযোগ করেছেন, সীমার সঙ্গে তার বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি, এবং তিনি এখনও তার স্ত্রী। তিনি বলেন, “পহেলগাঁও হামলার পর ভারতে বড় কিছু ঘটতে পারে। সীমা ও সচিনকে শাস্তি পেতে হবে। এপি সিংহ দেশের শত্রু, তিনি মানুষ নন, পশু।” গোলাম দাবি করেছেন, তিনি দুই বছর ধরে সন্তানদের ফেরত পাঠানোর জন্য আইনি লড়াই করছেন, কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। তিনি সীমাকে জেলে পাঠানোর পাশাপাশি তার চার সন্তানকে পাকিস্তানে নির্বাসনের দাবি জানিয়েছেন। “আমার সন্তানরা আমার জীবনের অংশ, তাদের আমি কখনো ক্ষতি করব না,” বলে তিনি এপি সিংহের অভিযোগ খণ্ডন করেছেন।

অন্যদিকে, সীমা হায়দার ইনস্টাগ্রামে ভিডিও পোস্ট করে বলেছেন, “আমি পাকিস্তানের মেয়ে ছিলাম, এখন ভারতের পুত্রবধূ। আমাকে এখানে থাকতে দিন।” তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে ভারতে থাকার আবেদন জানিয়েছেন। পহেলগাঁও হামলার পর ভারতের কঠোর নীতির মধ্যে সীমার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। এই ঘটনা ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের জটিলতা এবং ব্যক্তিগত জীবনের উপর রাজনৈতিক প্রভাবের একটি প্রতিফলন।