রাশিয়ার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা, ৮-১০ মে ইউক্রেনে সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্বের নজর থাকা অবস্থায়, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কার্যালয় ক্রেমলিন সোমবার (২৮ এপ্রিল) একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেছে। ক্রেমলিন জানিয়েছে, আগামী ৮ থেকে ১০ মে পর্যন্ত ইউক্রেনে পূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকবে। এই সিদ্ধান্ত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নৎসি জার্মানির উপর বিজয়ের স্মরণে ৯ মে বিজয় দিবস উপলক্ষে নেওয়া হয়েছে। “মানবিক কারণে প্রেসিডেন্ট পুতিন ৯ মে বিজয় দিবসে শত্রুতামূলক কার্যকলাপ সম্পূর্ণ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন,” ক্রেমলিনের এক বিবৃতিতে বলা হয়। এই সময়ে রুশ সেনাবাহিনী কোনো সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে না, যা ইউক্রেনের জন্য উল্লেখযোগ্য স্বস্তি।
এর আগে, পুতিন ইস্টার উপলক্ষে ৩০ ঘণ্টার একটি যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিলেন, যেখানে রুশ সেনাকে কোনো আক্রমণ না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও সেই সময়ে বলেছিলেন, “যদি রাশিয়া সত্যিই যুদ্ধবিরতি মেনে চলে, ইউক্রেনও এর প্রতিফলন করবে।” তবে, পুতিন পশ্চিমা অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ এবং ইউক্রেনের সামরিক সংগঠন ত্যাগ না করা পর্যন্ত ব্যাপক যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে অস্বীকার করেছেন। এই নতুন ঘোষণা এমন সময়ে এসেছে, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি স্থাপনের জন্য ক্রমাগত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ট্রাম্প সম্প্রতি জেলেনস্কির সঙ্গে ভ্যাটিকান সিটিতে পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে ১৫ মিনিটের একটি বৈঠক করেছেন। এরপর ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “আমার ধারণা, পুতিন যুদ্ধ শেষ করতে চান না; তিনি আমার কূটনৈতিক প্রচেষ্টার সুযোগ নিচ্ছেন।” পুতিনের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে ট্রাম্প বলেন, তিনি কূটনীতির আড়ালে সময় কাটাতে চান। এই যুদ্ধবিরতি কি সত্যিই শান্তির পথ প্রশস্ত করবে, নাকি এটি কেবল একটি কৌশলগত পদক্ষেপ, তা নিয়ে বিশ্লেষকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। তবে, ইউক্রেনের জনগণের জন্য এই তিন দিনের বিরতি সাময়িক স্বস্তি নিয়ে আসতে পারে।