রসগুল্লা চুরির মামলায় থানায় নোটিশ, সোশ্যাল মিডিয়ায় হাসির রোল

মধ্যপ্রদেশের জবলপুরের সিহোরা থানায় মাত্র ১৬৫ টাকার রসগুল্লা ও গুটখা চুরির ঘটনায় দায়ের করা একটি এফআইআর এখন থানা প্রভারীর জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। টিভি৯-এর প্রতিবেদনের পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট (এএসপি) সূর্যকান্ত শর্মা থানা প্রভারীকে নোটিশ জারি করে এই ভুলের জন্য ব্যাখ্যা চেয়েছেন। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার (বিএনএস) নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ৫,০০০ টাকার কম মূল্যের চুরির ক্ষেত্রে এফআইআর দায়েরের বিধান নেই। এই নিয়ম সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে এফআইআর দায়ের করায় পুলিশ কর্মকর্তা এখন বিপাকে। “এই ঘটনা পুলিশের প্রশিক্ষণের ঘাটতি তুলে ধরেছে,” বলেন আইন বিশেষজ্ঞ রাকেশ সিং।
ঘটনাটি সিহোরার মুখার্জি ওয়ার্ড নম্বর-১০-এর। বেকারি দোকানের মালিক দেবকরণ বিশ্বকর্মা জানান, এক যুবক মুখে গামছা বেঁধে তাঁর দোকানে প্রবেশ করে ১২৫ টাকার আধ কেজি রসগুল্লার প্যাকেট এবং ৪০ টাকার দুটি রাজশ্রী গুটখার পাউচ চুরি করে। যুবক ইউপিআই-এর মাধ্যমে পেমেন্ট করার কথা বলে পালিয়ে যায়, কিন্তু পরে কোনো লেনদেন না পাওয়ায় দোকানদার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করেন। ফুটেজে চোর হিসেবে সিহোরা চার্চের কাছে বসবাসকারী আশুতোষ ঠাকুর ও তাঁর সঙ্গী সঞ্চিত শর্মার পরিচয় মেলে। দোকানদারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এফআইআর দায়ের করে।
এএসপি সূর্যকান্ত শর্মা জানান, “নতুন আইনে ছোটখাটো চুরির ক্ষেত্রে এফআইআর দায়েরের প্রয়োজন নেই। এই ভুলের জন্য থানা প্রভারীকে নোটিশ জারি করা হয়েছে।” পুলিশ এখন মামলাটি শেষ করে চালান পেশ করছে। এই ঘটনা স্থানীয়দের মধ্যে হাস্যরসের বিষয় হয়ে উঠেছে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা চলছে। “এমন তুচ্ছ ঘটনায় এফআইআর দায়ের করা পুলিশের সময় ও সম্পদের অপচয়,” বলেন সমাজকর্মী প্রিয়া মেহতা। এই ঘটনা নতুন আইন সম্পর্কে পুলিশের সচেতনতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে।