কলকাতা, ২৯ এপ্রিল ২০২৫: হিন্দু ধর্মে অক্ষয় তৃতীয়া একটি অত্যন্ত শুভ দিন হিসেবে পালিত হয়, যেদিন কোনো মুহূর্ত দেখার প্রয়োজন হয় না। এই দিনে শুরু করা যেকোনো কাজ সারা বছর ধরে ফলপ্রসূ হয় বলে বিশ্বাস করা হয়। বিশেষত মা লক্ষ্মী ও কুবের দেবের পূজার মাধ্যমে ধন-সম্পদের অভাব দূর হয়। হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথিতে এই পবিত্র দিনটি পালিত হয়। এ বছর অক্ষয় তৃতীয়া পড়েছে ৩০ এপ্রিল। এই দিনে সোনা-রুপো কেনা থেকে শুরু করে দান-পুণ্যের মাধ্যমে ভক্তরা সমৃদ্ধি কামনা করেন।

ধর্মীয় বিশ্বাসে মা লক্ষ্মী ধনের দেবী, আর কুবের দেব ধনের রক্ষক। “অক্ষয় তৃতীয়ায় কুবের দেবের পূজা ধন সঞ্চয়ের নিশ্চয়তা দেয়,” বলেন পণ্ডিত রামকৃষ্ণ শাস্ত্রী, কলকাতার একজন প্রখ্যাত জ্যোতিষী। কথিত আছে, এই দিনেই কুবের দেব অলকাপুরীর শাসনভার ও স্বর্গের ধনভাণ্ডারের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। শিবের কঠোর তপস্যার পর তাঁকে ধনপতি হিসেবে আশীর্বাদ দেওয়া হয়। এই কারণে, অক্ষয় তৃতীয়ায় কুবের ও লক্ষ্মীর পূজা ধনলাভ ও সঞ্চয়ের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়।

এই দিনে দান-পুণ্যেরও বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। ধর্মীয় গ্রন্থ অনুসারে, এই দিনে দান করলে ধনের হ্রাস হয় না, বরং সম্পদ বৃদ্ধি পায়। “অক্ষয় তৃতীয়ার দান পুণ্যাত্মার সম্পদকে অক্ষয় করে,” বলেন মা কালী মন্দিরের পুরোহিত শ্যামল মুখোপাধ্যায়। তবে, এই তথ্যগুলো ধর্মীয় বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে, যার সত্যতা যাচাই করা সম্ভব নয়।

(দাবিত্যাগ: এই প্রতিবেদন ধর্মীয় বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে। একঝলক এর সত্যতা নিশ্চিত করে না।)