পহেলগামের প্রতিশোধ: চার কারণে ভারতের সামনে অসহায় পাকিস্তান

নয়াদিল্লি, ২৯ এপ্রিল ২০২৫: পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। ২৬ জনের প্রাণহানির এই ঘটনায় বিশ্বজুড়ে ভারতীয়রা প্রতিশোধের দাবি তুলেছেন, যা পাকিস্তানকে আতঙ্কিত করেছে। ভারত তাৎক্ষণিক কূটনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে ১৯৬০ সালের সিন্ধু নদী চুক্তি স্থগিত করেছে। এর জবাবে পাকিস্তানের নেতারা, যেমন বিলাওয়াল ভুট্টো, যুদ্ধের হুমকি দিয়ে চলেছেন। তবে, বিশ্লেষকদের মতে, এগুলো পাকিস্তানের চিরাচরিত ‘গীদড়ভপকি’, যা দেশটির দুর্বলতা ঢাকার প্রয়াস মাত্র।
পাকিস্তান কি ভারতের পাল্টা আঘাতের মুখে টিকতে পারবে? সংক্ষেপে, না। চারটি মূল কারণে পাকিস্তানের অসহায়ত্ব স্পষ্ট।
প্রথমত, আন্তর্জাতিক সমর্থনের অভাব। চীন, পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ মিত্র, সম্প্রতি যুদ্ধের বিরোধিতা করে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। “চীন ভারতের সঙ্গে পাশাপাশি চলতে চায়,” চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়। তুরস্ক ছাড়া অন্য কোনো বড় শক্তি পাকিস্তানের পাশে নেই, যা যথেষ্ট নয়। রাশিয়া ভারতকে সমর্থন করছে, আর আমেরিকা ও ব্রিটেন পাকিস্তানের বিরোধিতা করবে না।
দ্বিতীয়ত, পাকিস্তানের অর্থনীতি ও সেনাবাহিনী যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত নয়। মুদ্রাস্ফীতি ও ঋণের বোঝায় দেশটির অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। “যুদ্ধ হলে পাকিস্তানের অর্থনীতি আরও পিছিয়ে যাবে,” বলেছেন পাকিস্তানের এক সংসদ সদস্য। সেনাবাহিনীও দুর্বল, অস্ত্রের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সম্প্রতি মায়ানমার পাকিস্তানের জেএফ-১৬ যুদ্ধবিমানকে ‘কবাড়’ বলে ফেরত দিয়েছে।
তৃতীয়ত, সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ শান্তি ও কূটনীতির পরামর্শ দিয়েছেন। “যুদ্ধে পাকিস্তানের ক্ষতিই বেশি,” তিনি শেহবাজ শরিফকে বলেছেন।
চতুর্থত, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার স্বীকারোক্তি তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করেছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ স্বীকার করেছেন, “দশকের পর দশক ধরে আমরা সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন দিয়েছি।” পহেলগাম হামলার জন্য লস্কর-ই-তৈয়বার সঙ্গে যুক্ত টিআরএফ দায় স্বীকার করেছে, যা পাকিস্তানের দাবিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। এই পরিস্থিতিতে, ভারতের পদক্ষেপের মুখে পাকিস্তান অসহায়।