কালসর্প দোষ থেকে মুক্তি, ময়ূরপঙ্খের শুভ উপায় জানুন

কলকাতা: ময়ূর শুধু তার রূপেই নয়, তার পঙ্খের অলৌকিক গুণেও বিখ্যাত। হিন্দু সংস্কৃতিতে ময়ূরকে শুভতার প্রতীক মানা হয়। এটি দেবতা কার্তিকেয়ের বাহন এবং মা সরস্বতী ও লক্ষ্মীর সঙ্গে যুক্ত। প্রাচীনকালে ঋষিরা ময়ূরপঙ্খের কলমে শাস্ত্র রচনা করতেন। স্বপ্নে বা বাস্তবে ময়ূর দেখা অত্যন্ত শুভ বলে বিবেচিত হয়। ময়ূরপঙ্খ নেতিবাচক শক্তি থেকে রক্ষা করে এবং সকারাত্মকতা ছড়ায়। এই প্রতিবেদনে আমরা ময়ূরপঙ্খের কিছু সহজ উপায় জানাব, যা ঘরে সমৃদ্ধি আনে।
জ্যোতিষশাস্ত্রে ময়ূরপঙ্খের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। জ্যোতিষী রমেশ শর্মা বলেন, “ঘরে ময়ূরপঙ্খ রাখলে লক্ষ্মীর কৃপা লাভ হয় এবং নেতিবাচক শক্তি দূর হয়।” কালসর্প দোষে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সোমবার রাতে সাতটি ময়ূরপঙ্খ বালিশের নিচে রেখে ঘুমালে এই দোষ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এছাড়া, ঘরের পশ্চিম দেয়ালে ময়ূরপঙ্খ স্থাপন করলেও কালসর্প দোষের কষ্ট লাঘব হয়। ঘরের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে ময়ূরপঙ্খ রাখলে আর্থিক সংকট দূর হয় এবং অপ্রত্যাশিত সমস্যা কমে।
মানসিক অশান্তি বা ভয় দূর করতে শোবার ঘরে ময়ূরপঙ্খ স্থাপন করুন। শত্রুর ভয় থেকে মুক্তি পেতে মঙ্গলবার হনুমানজির সিঁদুর মাখানো ময়ূরপঙ্খ সঙ্গে রাখুন। জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞ সুধা মিশ্রা বলেন, “ময়ূরপঙ্খ যে কোনও স্থানকে অশুভ শক্তির প্রভাব থেকে রক্ষা করে।” ঘরে এটি রাখলে সুখ, সমৃদ্ধি এবং শান্তি বজায় থাকে। এই সহজ উপায়গুলি প্রাচীন বিশ্বাসের সঙ্গে আধুনিক জীবনে শান্তি ও ইতিবাচকতা আনতে সহায়ক। তবে, ময়ূরপঙ্খ প্রকৃতি থেকে সংগ্রহের সময় পরিবেশগত নিয়ম মেনে চলা জরুরি।