ডিজিটাল কৃষির উপকারিতা: পতঞ্জলির রিসার্চে উঠে এল নতুন পথ

ডিজিটাল কৃষির উপকারিতা: পতঞ্জলির রিসার্চে উঠে এল নতুন পথ

নয়াদিল্লি: ভারতের কৃষিপ্রধান অর্থনীতিতে ডিজিটাল প্রযুক্তি নিয়ে আসছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। ফসলের ক্রয়-বিক্রয় থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহে ডিজিটাল প্রযুক্তি ও ডেটার ব্যবহার ক্রমশ বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে পতঞ্জলি গবেষণা সংস্থা ডিজিটাল কৃষির গুরুত্ব ও উপকারিতা নিয়ে একটি বিশদ গবেষণা পরিচালনা করেছে। গবেষণায় বলা হয়েছে, ডেটা অ্যানালিটিক্স এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) কৃষকদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে পারে। রিমোট সেন্সিং, স্মার্ট সেন্সর এবং এআই/এমএল অ্যালগরিদমে চালিত আইওটি ডিভাইস কৃষিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

পতঞ্জলির গবেষণা প্রকাশ করে যে, ডিজিটাল কৃষি কেবল উৎপাদনই বাড়ায় না, বরং আর্থিক সাফল্যের পথও প্রশস্ত করে। গবেষক অমিত শর্মা বলেন, “ডেটা অ্যানালিটিক্সের মাধ্যমে জল, পুষ্টি, সার এবং অন্যান্য রাসায়নিকের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়, যা খরচ কমায় এবং ফলন বাড়ায়।” ভারতীয় কৃষিতে ডিজিটাল প্রযুক্তি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলেও, এর দ্রুত বিকাশ এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা উৎসাহজনক। গবেষণায় আরও বলা হয়, ডিজিটাল কৃষি চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বা ‘ইন্ডাস্ট্রি ৪.০’-এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে কৃষকদের, বিশেষ করে ক্ষুদ্র কৃষকদের, খাদ্য ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত করার নতুন সুযোগ তৈরি করছে।

তবে, ডিজিটাল কৃষির সুফল পুরোপুরি কাজে লাগাতে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। প্রযুক্তিগত জ্ঞানের অভাব এবং অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা এখনও বড় বাধা। পতঞ্জলির গবেষণায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে এই বাধা অতিক্রম করা সম্ভব। কৃষি বিশেষজ্ঞ রিতা সিং বলেন, “ডিজিটাল কৃষি কৃষকদের আয় বাড়ানোর পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।” ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তি ভারতীয় কৃষিকে আরও টেকসই ও লাভজনক করে তুলতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *