রাজস্থানের জয়পুরে এক হৃদয়বিদারক হিট অ্যান্ড রানের ঘটনায় ১৪ বছরের নাবালিকা আসিমার মৃত্যু হয়েছে। আসিমা তার বাবা ইসলামউদ্দিন এবং ৬ বছরের মামাতো বোনের সঙ্গে বাইকে করে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফিরছিল। সোমবার রাত ১২:২০ নাগাদ সাঙ্গানেরি গেটের কাছে একটি দ্রুতগামী গাড়ি তাদের বাইকের পিছনে ধাক্কা দেয়। ধাক্কার তীব্রতায় বাইকসহ তিনজন রাস্তায় ছিটকে পড়েন। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো মহিলা চালক পালানোর চেষ্টা করেন এবং পথে একটি অ্যাকটিভা স্কুটারকেও ধাক্কা দেন, যাতে স্কুটার চালক সামান্য আহত হন। পুলিশ গাড়িটির পিছু নিয়ে ঘাটগেটের কাছে চালককে ধরে ফেলে।

আসিমা, তার বাবা এবং মামাতো বোন গুরুতর আহত হন এবং তাদের তাৎক্ষণিক এসএমএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসারত অবস্থায় মাথায় গুরুতর আঘাতের কারণে আসিমার মৃত্যু হয়। প্রত্যক্ষদর্শী শাকির কুরেশি জানান, “গাড়িটি অতি দ্রুতগতিতে এসে বাইকের পিছনে ধাক্কা দেয়। আসিমা মাথার ওপর ভর করে রাস্তায় পড়ে রক্তাক্ত অবস্থায় অজ্ঞান হয়ে যায়।” পুলিশ গাড়িটি জব্দ করে এবং চালক, নাগপুরের সংস্কৃতি নিবাসী এক মহিলাকে গ্রেপ্তার করে। তদন্তে জানা যায়, তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। এসএসও (অ্যাক্সিডেন্ট থানা ইস্ট) রাজেশ বফানা বলেন, “অতিরিক্ত গতির কারণে গাড়িটি বাইকে ধাক্কা দেয়, এবং চালক ভুল পথে পালানোর চেষ্টা করেন।”

আসিমার পরিবার জয়পুরের আজাদ নগরে বাস করে। তার বাবা ইসলামউদ্দিন একটি কুরিয়ার কো ম্পা নিতে ডেলিভারি বয় হিসেবে কাজ করেন। পরিবারে তার দুই বড় ভাই এবং একটি ছোট বোন রয়েছে। দুর্ঘটনার পর ক্ষুব্ধ পরিজনরা মৃতদেহ থানার সামনে রেখে ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। পুলিশ পরিবারকে শান্ত করে এবং পোস্টমর্টেমের পর মৃতদেহ হস্তান্তর করে। “এই ঘটনা হৃদয়বিদারক। আমরা দ্রুত তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেব,” বলেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। এই ঘটনা জয়পুরে নেশায় গাড়ি চালানোর বিপদ নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলেছে।