মোদীর ‘সুপার ক্যাবিনেট’ বৈঠকে কঠোর প্রতিক্রিয়ার ইঙ্গিত

জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে ২৬ জনের প্রাণহানির এক সপ্তাহ পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বুধবার নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভার (সিসিএস ও সিসিপিএ) দুটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন। ‘সুপার ক্যাবিনেট’ নামে পরিচিত সিসিপিএ, যার সদস্য প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন, মন্ত্রী নীতিন গডকরি ও পীযূষ গোয়েল, ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর বালাকোট হামলার মতো কঠোর সিদ্ধান্তের প্রেক্ষাপটে আলোচিত। সরকারি সূত্রে জানা গেছে, মোদী সশস্ত্র বাহিনীকে “সম্পূর্ণ অপারেশনাল স্বাধীনতা” দিয়েছেন।
২২ এপ্রিল বৈসরান তৃণভূমিতে লস্কর-ই-তৈয়বার শাখা রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টের হামলায় ২৫ ভারতীয় ও এক নেপালি নিহত হন। এই হামলা কাশ্মীরের পর্যটন ও শান্তি প্রক্রিয়ার ওপর আঘাত হিসেবে দেখা হচ্ছে। মোদী বলেন, “সন্ত্রাসীরা ও তাদের পৃষ্ঠপোষকরা কঠোর শাস্তি থেকে রেহাই পাবে না।” বৈঠকে সীমান্তে উত্তেজনা, পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই বৈঠক ভারতের কঠোর প্রতিক্রিয়ার ইঙ্গিত। পাকিস্তানের অস্বীকৃতি সত্ত্বেও, ভারত ক্রস-বর্ডার সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে ইন্দুস জলচুক্তি স্থগিত করেছে। জম্মু ও কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান ও সন্ত্রাসীদের ঘরবাড়ি ধ্বংসের মাধ্যমে কঠোর পদক্ষেপ শুরু হয়েছে।