ইনস্টাগ্রামের চাপে প্রাণ গেল মিশা অগ্রওয়ালের? আত্মহত্যা না খুন চাঞ্চল্যকর দাবি

ইনস্টাগ্রামের চাপে প্রাণ গেল মিশা অগ্রওয়ালের? আত্মহত্যা না খুন চাঞ্চল্যকর দাবি

২৪ এপ্রিল সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার মিশা অগ্রওয়াল চিরতরে চলে গেছেন। তাঁর পরিবার এই হৃদয়বিদারক খবর নিশ্চিত করেছে। মিশা তাঁর কমিক ভিডিও এবং ‘দ্য মিশা অগ্রওয়াল শো’-এর জন্য বিখ্যাত ছিলেন। কিন্তু কেউ জানতেন না, তিনি কী মানসিক যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর খবরে সবাই অবাক, প্রশ্ন উঠছে—কীভাবে হঠাৎ এমন ঘটল? এবার মিশার জামাই তাঁর মৃত্যুর কারণ প্রকাশ করেছেন, যা শুনে সকলেই হতবাক। “মিশা ইনস্টাগ্রামের চাপে ভেঙে পড়েছিলেন,” বলেন তাঁর জামাই।

মিশার জামাই তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি আবেগঘন পোস্ট শেয়ার করেছেন। তিনি লিখেছেন, “আমার ছোট বোন মিশা ইনস্টাগ্রাম এবং ফলোয়ারদের নিয়ে তাঁর পুরো জগৎ গড়েছিলেন। তাঁর একমাত্র লক্ষ্য ছিল ১০ লক্ষ ফলোয়ার। কিন্তু ফলোয়ার কমতে শুরু করায় তিনি গভীর বিষণ্ণতায় ডুবে যান।” মিশা তাঁর জামাইকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে বলেছিলেন, “যদি ফলোয়ার কমে, আমার কেরিয়ার শেষ হয়ে যাবে।” পরিবার তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিল যে ইনস্টাগ্রাম কেবল বিনোদনের মাধ্যম, জীবন নয়। তাঁরা মিশার এলএলবি ডিগ্রি এবং বিচারক হওয়ার স্বপ্নের কথা মনে করিয়েছিল।

View this post on Instagram

A post shared by Misha Agrawal (@themishaagrawalshow)

কিন্তু পরিবারের বোঝানো সত্ত্বেও মিশা বিষণ্ণতার গ্রাস থেকে বেরোতে পারেননি। তাঁর জামাইয়ের দাবি, ফলোয়ার কমার চাপ সহ্য করতে না পেরে মিশা আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। তাঁর পরিবার এই শোক কাটিয়ে উঠতে পারছে না। “মিশার কাছে ফলোয়াররা পরিবারের মতো ছিল, কিন্তু সেই চাপই তাঁকে ভেঙে দিয়েছে,” বলেন তাঁর বোন মুক্তা অগ্রওয়াল। মিশার ভক্তরা এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না যে তাঁদের প্রিয় হাস্যোজ্জ্বল মুখটি আর নেই। তবে, কিছু ভক্ত এই ব্যাখ্যায় সন্দেহ প্রকাশ করে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

মিশার মৃত্যু সোশ্যাল মিডিয়ার অন্ধকার দিকটি তুলে ধরেছে। তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু হর্ষজাস সেঠি বলেন, “মিশা আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। এই কারণ পুরোপুরি সত্য নাও হতে পারে।” এই ঘটনা ডিজিটাল যুগে মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতনতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে। মিশার জীবন ছিল অনুপ্রেরণার, তাঁর চলে যাওয়া সকলকে শোকাহত করেছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *