পারমাণবিক অস্ত্রধারী পাকিস্তান শত্রুকে যোগ্য জবাব দিতে সক্ষম—জেলবন্দি অবস্থায় এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। এই পরিস্থিতিতে ইমরান মঙ্গলবার তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ-প্ররোচনা’র অভিযোগ তুলে বলেন, “পহেলগাঁওয়ের ঘটনা মর্মান্তিক। নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা। কিন্তু পুলওয়ামার মতো ভারত এবারও প্রমাণ ছাড়াই আমাদের দিকে আঙুল তুলছে।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, “পাকিস্তান শান্তি চায়, কিন্তু আমরা শত্রুকে জবাব দিতে জানি।”

ইমরান আরও লিখেছেন, “আরএসএসের মতাদর্শে চালিত ভারত বিপজ্জনক। মোদির আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পাকিস্তান ঐক্যবদ্ধ।” তিনি মোদির ‘যুদ্ধ-প্ররোচনা’র তীব্র নিন্দা করেন এবং ভারতকে দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানান। পহেলগাঁও হামলায় ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যুর পর ভারত সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত, ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত বন্ধ এবং পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিলের ঘোষণা দেয়। বিদেশসচিব বিক্রম মিসরি বলেন, “পাকিস্তানে থাকা ভারতীয়দের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ছাড়তে হবে।” পাকিস্তানও পালটা কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছে, যা উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়েছে।

ইমরানের এই বক্তব্য বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের অবস্থানের সঙ্গে মিলে গেছে, যিনি ভারতের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিক্রিয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষক আলি হাসান বলেন, “ইমরানের বক্তব্য পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ ঐক্যকে শক্তিশালী করছে, তবে এটি দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়াবে।” পাকিস্তানের মন্ত্রী হানিফ আব্বাসি সম্প্রতি ১৩০টি পারমাণবিক অস্ত্র ভারতের দিকে তাক করা আছে বলে হুমকি দিয়েছিলেন। এই পরিস্থিতিতে দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে সংঘাতের আশঙ্কা বাড়ছে, যা আঞ্চলিক শান্তির জন্য হুমকি।