বেঙ্গালুরুর রেস্তোরাঁয় মহিলার ২০ লাখ টাকার ক্ষতি, রিল বানাতে গিয়ে গাড়ি ভাঙল কর্মীরা

বেঙ্গালুরুর মারাঠাহল্লির ‘দ্য বিগ বারবিকিউ’ রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়ে এক মহিলার ১.৪ কোটি টাকার মার্সিডিজ-বেঞ্জ গাড়ি রিল বানানোর চক্করে ভেঙে ফেলা হয়েছে, যার ক্ষতি প্রায় ২০ লাখ টাকা। এই ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠেছে গুরুতর প্রশ্ন। মহিলা অভিযোগ করেন, রেস্তোরাঁর ভ্যালেট কর্মীরা গাড়ি পার্ক করার বদলে রিল বানাতে ব্যস্ত ছিল। “একজন ড্রাইভার কন্ট্রোল হারিয়ে গাড়িটি দেয়ালে ধাক্কা মারে,” বলেন মহিলা, যিনি নিজেকে ছাবরা হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।
ঘটনার পর রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ প্রথমে এটিকে ‘সাধারণ পার্কিং দুর্ঘটনা’ বলে উড়িয়ে দেয়। কিন্তু সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, তিনজন ভ্যালেট কর্মী—যাদের মধ্যে দুজনের বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল না—গাড়িটি নিয়ে বেপরোয়াভাবে রিল বানাচ্ছিল। ছাবরা জানান, “যে ড্রাইভার গাড়ি ভাঙে, আব্দুল্লা লস্কর, তার লাইসেন্স জাল। আসাম আরটিও থেকে যাচাই করে দেখা গেছে, তার জন্ম ১৯৯৯ সালে, কিন্তু লাইসেন্সের ইস্যু তারিখ ২০১০!” রেস্তোরাঁ এমনকী জাল চুক্তি ও ভুয়ো ড্রাইভারের তথ্য দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে।
পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে গেলে ছাবরা আরও হতাশ হন। তিনি বলেন, “পুলিশ আমাকে ২ লাখ টাকায় মীমাংসার পরামর্শ দেয়, কোনও আইনি পদক্ষেপ নেয়নি।” তিনি অভিযোগ করেন, রেস্তোরাঁর মালিক এফআইআর বাতিলের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেছেন। “এটি শুধু আমার গাড়ির কথা নয়, এটি বেঙ্গালুরুর দুর্নীতি ও অব্যবস্থার প্রতিফলন,” বলেন ছাবরা। এক্স-এ
@karnatakaportf অ্যাকাউন্টে এই ঘটনা শেয়ার করা হয়েছে, যেখানে ব্যবহারকারীরা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। একজন লিখেছেন, “পুলিশ নিশ্চয়ই ঘুষ নিয়েছে, তাই মীমাংসার কথা বলছে।”
এই ঘটনা বেঙ্গালুরুর পুলিশি দুর্নীতি ও রেস্তোরাঁর গাফিলতির প্রশ্ন তুলেছে। বিশ্লেষক রমেশ কুমার বলেন, “এটি শুধু একটি গাড়ির ক্ষতি নয়, প্রশাসনের বিশ্বাসযোগ্যতার প্রশ্ন।” তিনজন ভ্যালেট কর্মী বর্তমানে আসামে পালিয়ে আছে, এবং মামলার তদন্ত চলছে। জনমনে প্রশ্ন, সাধারণ মানুষ যদি এমন অন্যায়ের শিকার হন, তবে ন্যায় পাওয়ার পথ কতটা কঠিন?