পাকিস্তানে ১৫০-এর বেশি সন্ত্রাসী সংগঠন, চলছে আতঙ্কের কারখানা

পাকিস্তানে ১৫০-এর বেশি সন্ত্রাসী সংগঠন, চলছে আতঙ্কের কারখানা

পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিয়ে তাদের মাধ্যমে ভারতসহ বিশ্বজুড়ে অশান্তি ছড়াচ্ছে। বর্তমানে পাকিস্তানে ১৫০-এর বেশি সন্ত্রাসী সংগঠন সক্রিয় রয়েছে, যার মধ্যে হাফিজ সইদের লস্কর-ই-তৈয়বা, মাসুদ আজহারের জৈশ-ই-মহম্মদ, হিজবুল মুজাহিদিন, লস্কর-ই-ঝাঙ্গভি এবং আল বদরের মতো কুখ্যাত গোষ্ঠী রয়েছে। এই সংগঠনগুলো শুধু ভারত নয়, গোটা বিশ্বে তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য কুখ্যাত। ২০২৪ সালে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এই সংগঠনগুলোর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও, পাকিস্তান তাদের নতুন নামে কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। “এটি পাকিস্তানের দ্বিমুখী নীতির প্রকাশ,” বলছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।

নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও এই সংগঠনগুলো নতুন নামে সক্রিয়। লস্কর-ই-তৈয়বা এখন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ) নামে পরিচিত, জৈশ-ই-মহম্মদ ‘পিপলস অ্যান্টি-ফ্যাসিস্ট ফ্রন্ট’ (পিএএফএফ) হয়েছে। এই নাম পরিবর্তনের পিছনে উদ্দেশ্য হলো আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এড়ানো, ইউরোপ ও আমেরিকায় কার্যক্রম সহজ করা এবং তরুণদের আকৃষ্ট করা। পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর সমর্থনে এই সংগঠনগুলো প্রক্সি উইং তৈরি করে কাশ্মীরে হামলার পরিকল্পনা করে। পহেলগামে টিআরএফ-এর হামলা এরই জ্বলন্ত উদাহরণ, যেখানে নিরীহ পর্যটকদের হত্যা করা হয়। “নাম বদলালেও এদের উদ্দেশ্য একই,” বলেন একজন ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তা।

তিন দশক ধরে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী ইতিমধ্যে ১৪ জন সন্ত্রাসীর নাম প্রকাশ করেছে, যারা লস্কর, জৈশ এবং হিজবুলের সঙ্গে যুক্ত। এদের মধ্যে আদিল রহমান ডেন্টো, আসিফ আহমেদ শেখ এবং শাহিদ আহমেদ কুটের মতো কুখ্যাত নাম রয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরে প্রায় ৬০ জন সন্ত্রাসী সক্রিয়, যাদের অধিকাংশই পাকিস্তান সমর্থিত। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী এদের নির্মূলের জন্য তৎপর। পাকিস্তানের এই সন্ত্রাসী কারখানা বন্ধ না হলে আঞ্চলিক শান্তি বিপন্ন হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *