তলাকের মামলায় অতিরিক্ত চালাকি দেখানো এক স্ত্রীর জন্য ব্যয়বহুল প্রমাণিত হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্ট তাঁকে স্বামীর মানহানির জন্য ১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এই ঘটনার মূলে রয়েছে স্ত্রীর একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত দুটি মানহানিকর বিবৃতি, যেখানে তিনি দাবি করেছিলেন যে তাঁর স্বামী, একজন সরকারি বিভাগের সহকারী, তলাকের মামলা চলাকালীন অন্য মহিলার সঙ্গে বিবাহ করতে চলেছেন। স্বামী এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। “এই ধরনের অভিযোগ ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে গুরুতর ক্ষতি করে,” বলেন আইনজীবী সৌম্য ব্যানার্জি।

আদালত স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তিনি কীভাবে স্বামীর দ্বিতীয় বিবাহের খবর পেয়েছেন। তিনি শুধু বলেছেন, একটি ‘বিশ্বস্ত সূত্র’ থেকে তথ্য পেয়েছেন, কিন্তু সেই সূত্র বা স্বামীর কথিত বাগদত্তার নাম প্রকাশ করতে পারেননি। আদালত এই অস্পষ্ট ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হয়ে স্ত্রীর অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে মনে করেন। ফলে, তাঁকে তিন মাসের মধ্যে ১ লাখ টাকা জরিমানা হিসেবে পরিশোধ করতে হবে। এই রায় তলাকের মামলায় মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান প্রতিফলিত করে।

কলকাতা হাইকোর্ট জোর দিয়ে বলেছে, তলাকের মামলা একটি ব্যক্তিগত বিষয়, এবং উভয় পক্ষের উচিত মিডিয়ায় একে অপরের বিরুদ্ধে মানহানিকর বিবৃতি প্রকাশ থেকে বিরত থাকা। এই রায়ের মাধ্যমে আদালত ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে একটি নজির স্থাপন করেছে। “এই রায় ব্যক্তিগত বিবাদকে সর্বজনীন না করার গুরুত্ব তুলে ধরে,” ব্যানার্জি যোগ করেন। এই ঘটনা তলাকের মামলায় সততা ও দায়িত্বশীল আচরণের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়।