পহেলগাম হামলার পর ফারুকের প্রশ্ন, মুসলিম সমাজের কী হবে?

জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পর কেন্দ্রীয় সরকার সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে, যার মধ্যে অনেক সন্ত্রাসীর বাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে। এই পদক্ষেপ নিয়ে জম্মু-কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্সের (জেকেএনসি) প্রধান ফারুক আবদুল্লা সরকারের প্রতি সতর্কতার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “এই ধরনের পদক্ষেপের আগে হাজারবার ভাবা উচিত। ছেলে ভুল করলে তার বাবা-মা, বোনের কী দোষ? তাদের বাড়ি ধ্বংস করে আমরা কি শক্তিশালী হব?” তিনি অভিযোগ করেন, এই সিদ্ধান্তগুলো দপ্তরে বসে নেওয়া হয়, যা স্থানীয় মানুষের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে।
ফারুক আবদুল্লা পহেলগাম হামলাকে ‘মানবতার উপর আঘাত’ বলে বর্ণনা করেছেন এবং এর প্রভাব জম্মু-কাশ্মীরের মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, “একটি প্রচারণা চলছে যে মুসলিমদের নিশ্চিহ্ন করতে হবে, আমাদের মসজিদগুলো পোড়ানো হচ্ছে। এই হামলা কেবল নিরাপত্তা ব্যর্থতা নয়, এটি মুসলিম সম্প্রদায়ের উপরও প্রভাব ফেলবে।” তিনি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের দ্বি-রাষ্ট্র তত্ত্বের বক্তব্যকেও উত্তেজনার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, “যুদ্ধ হলে আলোচনার টেবিলে এটি আসবে, কিন্তু ফলাফল কী হবে, তা কেবল আল্লাহ জানেন।”
জেকেএনসি নেতা ওয়াকফ বিলের বিরোধিতা করেছেন, যা বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিবেচনাধীন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে এই বিষয়ে ন্যায়বিচার পাওয়া যাবে। পহেলগাম হামলার প্রেক্ষিতে তিনি নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা ব্যর্থতার কথা তুলে ধরেন, উল্লেখ করে যে এটি পর্যটন ও স্থানীয় অর্থনীতির উন্নতির বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র হতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, ফারুকের বক্তব্য সরকারের কঠোর নীতির সামাজিক ও ধর্মীয় প্রভাব নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্থাপন করে। এই পরিস্থিতিতে কাশ্মীরের মানুষের মধ্যে ভয় ও অস্থিরতা বাড়ছে, যা শান্তি ও স্থিতিশীলতার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।