গ্রীষ্মে তরমুজের মতো রসালো ও হাইড্রেটিং ফল প্রতিটি বাড়িতে প্রিয়। এর ঠান্ডা প্রকৃতি পেটে শীতলতা দেয় এবং লু থেকে রক্ষা করে। তরমুজে প্রচুর জল, ভিটামিন এ, সি, পটাশিয়াম ও লাইকোপিন থাকে, যা ত্বকের জেল্লা বাড়ায় এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিন্তু তরমুজ খাওয়ার সময় কিছু সতর্কতা না মানলে এটি উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশি করতে পারে। কিছু খাবারের সঙ্গে তরমুজের মিশ্রণ পেটে গ্যাস, অ্যাসিডিটি বা অপচনের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। “তরমুজের সঙ্গে ভুল খাবারের সমন্বয় পাচনতন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট করে,” বলেন পুষ্টিবিদ ড. শিখা মেহতা।

আয়ুর্বেদ অনুসারে, তরমুজ খাওয়ার পর দুধ পান করা উচিত নয়। তরমুজের টক প্রকৃতি এবং দুধের ঠান্ডা প্রকৃতি একত্রে অ্যাসিডিটি বা পেটের সমস্যা সৃষ্টি করে। একইভাবে, তরমুজের পরপরই ডিম খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। ডিমের গরম তাসির এবং তরমুজের ঠান্ডা তাসির মিশ্রণ ফোলাভাব বা কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ হতে পারে। “এই খাবারের সমন্বয় পাচনতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর,” বলেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ড. রাজেশ শর্মা। তরমুজের সঙ্গে নুন মিশিয়ে খাওয়াও ভুল। এটি তরমুজের পুষ্টিগুণ নষ্ট করে এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়।

তরমুজ খাওয়ার পর জল পান করাও ক্ষতিকর। তরমুজে ৯২% জল থাকায় অতিরিক্ত জল পাচনতন্ত্রের পিএইচ ভারসাম্য নষ্ট করে, যা অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়ার কারণ হতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, তরমুজ খাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট পরে জল পান করা উচিত। তরমুজের স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে এটি একা খাওয়াই শ্রেয়। সচেতন খাদ্যাভ্যাস গ্রীষ্মে তরমুজকে আপনার স্বাস্থ্যের বন্ধু করে তুলতে পারে।