রাম মন্দিরের ৬টি দরজায় ১৮ কিলো সোনা, সিংহাসনে বিরাজমান হবেন রাম-সীতা

অযোধ্যার শ্রীরাম জন্মভূমি মন্দির প্রতিদিন নতুন ঐশ্বর্য ও ভক্তির শিখরে পৌঁছাচ্ছে। মন্দিরের প্রথম তলের ছয়টি বিশাল দরজায় মোট ১৮ কিলোগ্রাম সোনার প্রলেপ দেওয়া হচ্ছে, প্রতিটি দরজায় প্রায় ৩ কিলোগ্রাম সোনা ব্যবহৃত হবে। এর আগে, নিচতলার ১৪টি দরজায় ইতিমধ্যে ৪২ কিলোগ্রাম সোনার প্রলেপ দেওয়া হয়েছে। এই কাজ ভক্তি, শ্রদ্ধা এবং অতুলনীয় কারুশিল্পের এক অপূর্ব নিদর্শন। “এই সোনার দরজাগুলি মন্দিরের আধ্যাত্মিক মহিমাকে আরও বাড়িয়ে তুলছে,” বলেন শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের এক সদস্য।
মন্দিরের শিখরে অবস্থিত প্রধান কলস এবং রাম দরবারের সিংহাসনেও ৩ থেকে ৪ কিলোগ্রাম সোনার প্রলেপ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এই সোনার আভা কেবল মন্দিরের সৌন্দর্যই বাড়াবে না, বরং ভক্তদের মনে গভীর আধ্যাত্মিক অনুভূতি জাগাবে। প্রথম তলের রাম দরবারে রাম ও সীতার ভব্য মূর্তি স্থাপিত হয়েছে। ট্রাস্ট জানায়, সিংহাসনে রাম-সীতা বিরাজমান থাকবেন, তাঁদের পাশে লক্ষ্মণ ও শত্রুঘ্ন পাখা হাতে দাঁড়িয়ে থাকবেন, আর হনুমান ও ভরত চরণে বসে ভক্ত ও ভাইয়ের আদর্শ রূপ প্রকাশ করবেন।
জুন মাসে রাম দরবারের প্রাণ প্রতিষ্ঠার জন্য তিন দিনব্যাপী বিশেষ উৎসবের পরিকল্পনা করছে ট্রাস্ট। এই ঐতিহাসিক আয়োজনের বিস্তারিত সূচি এখনও প্রকাশিত হয়নি, তবে দেশজুড়ে ভক্তদের ভিড় অযোধ্যায় জমবে বলে আশা করা হচ্ছে। “এই উৎসব ভক্তদের জন্য অবিস্মরণীয় হবে, যা রাম মন্দিরের গৌরবকে বিশ্বে ছড়িয়ে দেবে,” বলেন মন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস।
রাম মন্দির কেবল একটি স্থাপত্য নয়, এটি ভারতের আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক। সোনায় মোড়া দরজা, সিংহাসন এবং রাম দরবারের মূর্তিগুলি দর্শনার্থীদের চোখ ধাঁধিয়ে দেবে এবং তাঁদের মনকে ভগবান রামের ভক্তিতে ভরিয়ে তুলবে। এই মন্দির ভক্তদের হৃদয়ে শান্তি ও ঐক্যের বার্তা ছড়াচ্ছে, যা ভারতের সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণের এক অমর নিদর্শন হয়ে থাকবে।