দুর্ঘটনা রুখতে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে ট্রাফিক গার্ড, কনভেক্স মিরর বসানোর উদ্যোগ

ব্যারাকপুর: ছয় লেনে উন্নীত কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে গাড়ির গতি বাড়ালেও দুর্ঘটনার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। রোজই কোথাও না কোথাও দুর্ঘটনা ঘটছে, আর বৃষ্টির দিনে রাস্তার দুধারে জল জমে যাওয়ায় দুর্ভোগ বাড়ছে। “জল জমার সমস্যা সমাধান না হলে বর্ষায় আরও বিপদ বাড়বে,” বলছেন স্থানীয় বাসিন্দা অমিত পাল। ৩০ কিলোমিটার মসৃণ এই রাস্তায় ১৭টি উড়ালপুল ও ৫৬টি কালভার্ট থাকলেও জল নিষ্কাশনের স্থায়ী সমাধান এখনও মেলেনি।
দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে। ট্রাফিক গার্ড তৈরি, ট্রাফিক সার্জেন্টদের টহল, ওয়ারলেস মোড়ের মতো ব্যস্ত এলাকায় বিশেষ নজরদারি এবং আন্ডারপাসের সামনে কনভেক্স মিরর স্থাপনের কাজ চলছে। হালিশহরের পাঁচ মাথার মোড়ে ইতিমধ্যে মিরর বসানো হয়েছে। পুলিশ কমিশনার অজয় ঠাকুর বলেন, “দুর্ঘটনা আমাদের কাছে উদ্বেগের। টার্নিং পয়েন্টে সাইনেজ ছোট হওয়ায় দ্রুতগতির গাড়ি থেকে তা দেখা যায় না, ফলে সংঘর্ষ হচ্ছে। আমরা এটি সমাধানে কাজ করছি।”
তবে, রাস্তার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পাঁচ বছরের জন্য ঠিকাদারি সংস্থার হাতে থাকলেও জল জমার সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পানপুরে টোল প্লাজা তৈরি হলেও এখনও টোল নেওয়া শুরু হয়নি, যা সাধারণ মানুষের কাছে স্বস্তির। “টোল নিলে সাধারণ মানুষের উপর বোঝা বাড়বে,” বলছেন যাত্রী রিনা মন্ডল। বিরাটিতে উড়ালপুলের কাজ শেষ হলে যাতায়াত আরও সহজ হবে বলে আশা। তবে, বিশ্লেষকদের মতে, দুর্ঘটনা ও জল জমার সমস্যা সমাধানে আরও কার্যকর পরিকল্পনা প্রয়োজন।