ধর্ষণ মামলায় খালাসের রায় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ক্ষোভ, বিচারককে ‘বোকা’ বলে কটাক্ষ

৩২ বছর আগে গুজরাটে ১০ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত ৫৪ বছরের এক ব্যক্তিকে সুপ্রিম কোর্ট ১০ বছরের ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১০,০০০ টাকা জরিমানা করেছে। ১৯৯০ সালের এই ঘটনায় ট্রায়াল কোর্ট ১৯৯১ সালে অভিযুক্তকে খালাস দিলেও, গুজরাট হাইকোর্ট ২০২৪ সালে সেই রায় বাতিল করে। সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত বহাল রেখে অভিযুক্তকে এক সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্যকান্ত ও এন কোটিশ্বর সিং ট্রায়াল কোর্টের রায় নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, “ফরেনসিক রিপোর্ট ও ভুক্তভোগীর বক্তব্য থাকা সত্ত্বেও কোন বোকা বিচারক এই খালাসের রায় দিয়েছেন?” তারা এফআইআর দায়েরে ৪৮ ঘণ্টা বিলম্বকে খালাসের যুক্তি হিসেবে গ্রহণ করা অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেন। হাইকোর্ট উল্লেখ করেছে, এমন রায় সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, বিশেষত যেহেতু ভুক্তভোগী ছিল মাত্র ১০ বছরের।
এই রায় ন্যায়বিচারের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরিয়েছে। তবে, বিশ্লেষকরা বলছেন, দীর্ঘ ৩২ বছরের বিচার প্রক্রিয়া ভারতীয় বিচার ব্যবস্থার ধীরগতির উপর প্রশ্ন তুলেছে। এই মামলা নাবালিকাদের বিরুদ্ধে অপরাধে কঠোর শাস্তির প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেছে।