‘বকফ আইনে হস্তক্ষেপ নয়’, সুপ্রিম কোর্টে নতুন যাচিকা খারিজ

বকফ (সংশোধন) আইন, ২০২৫ (Waqf Amendment Act 2025) নিয়ে দেশজুড়ে তীব্র আলোচনার মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট নতুন যাচিকা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। শুক্রবার প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও কে ভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ মোহাম্মদ সুলতানের যাচিকা খারিজ করে বলেন, “আমরা আর যাচিকার সংখ্যা বাড়াব না। এটি সামলানো কঠিন হবে।” আদালত আগেই জানিয়েছিল, ৭০টির বেশি যাচিকার মধ্যে মাত্র পাঁচটিতে শুনানি হবে। আগামী ৫ মে এই মামলার শুনানি নির্ধারিত।
এই আইনের বিরুদ্ধে ৭২টি যাচিকা দায়ের হয়েছে, যার মধ্যে এআইএমআইএম নেতা আসাদুদ্দিন ওয়াইসি (Asaduddin Owaisi), অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড (AIMPLB), জমিয়ত উলেমা-এ-হিন্দ, দ্রাবিড় মুনেত্র কড়গম (DMK), কংগ্রেস সাংসদ ইমরান প্রতাপগড়ি (Imran Pratapgarhi) ও মোহাম্মদ জাভেদের (Mohammad Javed) নাম উল্লেখযোগ্য। যাচিকাকারীরা দাবি করেছেন, এই আইন সংবিধানের ১৪, ২৫ ও ২৬ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করে এবং বকফ বোর্ডে অমুসলিম সদস্যদের অন্তর্ভুক্তি ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ। কেন্দ্র আশ্বাস দিয়েছে, ৫ মে পর্যন্ত বকফ সম্পত্তি ‘ব্যবহারকারী দ্বারা বকফ’ (Waqf by User) বাতিল বা বোর্ডে নিয়োগ করা হবে না।
৪ এপ্রিল সংসদে পাশ হওয়া এই আইন ৫ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর অনুমোদন পায়। রাজ্যসভায় ১২৮ জন সমর্থন ও ৯৫ জন বিরোধিতা করেন, লোকসভায় ২৮৮ জন সমর্থন ও ২৩২ জন বিরোধিতা করেন। কেন্দ্র দাবি করেছে, আইনটি বকফ সম্পত্তির স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বাড়াবে। তবে, ওয়াইসি ও এআইএমপিএলবি’র মতো সংগঠন এটিকে মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অধিকারের উপর আঘাত বলে অভিহিত করেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই বিতর্ক ধর্মীয় ও রাজনৈতিক মেরুকরণকে আরও তীব্র করতে পারে।