জম্মু-কাশ্মীরের পহলগামে গত ২২ এপ্রিল ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জনের মৃত্যুর পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে তীব্র উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এর জেরে ভারত সরকার দেশে অবস্থানরত সকল পাকিস্তানি নাগরিককে দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ জারি করে। এই নির্দেশের আওতায় সিআরপিএফ জওয়ান মুনির খানের পাকিস্তানি স্ত্রী মিনাল খানকেও দেশ ত্যাগের নোটিশ দেওয়া হয়। তবে জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্ট গত বুধবার মিনালকে নির্বাসন থেকে শেষ মুহূর্তে ১০ দিনের স্থগিতাদেশ দেয়। কিন্তু এই ঘটনায় মুনির খানের চাকরি এখন ঝুঁকির মুখে।

মুনির খান এবং পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাসিন্দা মিনাল খান ২০২৪ সালের ২৪ মে হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিও কলের মাধ্যমে নিকাহ করেন। তবে এই বিয়ের জন্য মুনির সিআরপিএফের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক অনুমতি নেননি, যা সিসিএস (আচরণ) নিয়ম, ১৯৬৪-এর ২১(৩) ধারার লঙ্ঘন। “বিভাগীয় অনুমোদন ছাড়া এই ধরনের বিয়ে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ,” জানিয়েছেন সিআরপিএফের এক কর্মকর্তা। এছাড়া, মিনালের ভিসার মেয়াদ ২২ মার্চ, ২০২৫-এ শেষ হওয়ার পরও তিনি ভারতে ছিলেন, এবং মুনির এই তথ্য গোপন রাখেন।

এই ঘটনায় মুনিরের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। সিআরপিএফের ৪১তম ব্যাটালিয়নে কর্মরত এই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে কঠোর শাস্তির সম্ভাবনা রয়েছে। মিনালের নির্বাসন স্থগিত হলেও, এই ঘটনা ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের সংবেদনশীল প্রেক্ষাপটে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। “আমরা শুধু একসঙ্গে থাকতে চেয়েছিলাম,” বলেছেন মিনাল, যিনি পহলগাম হামলার নিন্দা করে অপরাধীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।