পৃথিবীর কাছাকাছি চার গ্রহাণু, নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবে চলছে নজরদারি

নয়াদিল্লি: নাসা সম্প্রতি চারটি নিকট-পৃথিবী গ্রহাণু (এনইও)—২০২৫ এইচপি২২, ২০২৫ জেএ, ২০২৫ এইচজে৫ এবং ২০২৫ এইচআর১—২০২৫ সালের ২ মে পৃথিবীর কাছ দিয়ে অতিক্রম করেছে বলে জানিয়েছে। এই গ্রহাণুগুলি অ্যাপোলো এবং আমোর শ্রেণিভুক্ত, এবং নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি (জেপিএল) এগুলির গতিপথ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এই চারটি গ্রহাণুর মধ্যে দুটি পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্বের চেয়েও কম, অর্থাৎ পাঁচ লক্ষ কিলোমিটারের কাছাকাছি দূরত্বে এসেছিল। এই ঘটনা বিজ্ঞানীদের জন্য ছোট আকারের দ্রুতগামী মহাজাগতিক বস্তুর গতিপথ সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য সরবরাহ করেছে।
২০২৫ এইচপি২২ গ্রহাণুটি ২ মে ভোরে পৃথিবী থেকে মাত্র ৪,৯৩,১৬৬ কিলোমিটার দূর দিয়ে অতিক্রম করে, যা কিছু কৃত্রিম উপগ্রহের কক্ষপথের চেয়েও কাছাকাছি। এই অ্যাপোলো-শ্রেণির গ্রহাণু চাঁদের থেকে মাত্র ২,২৯,৭৬৪ কিলোমিটার দূরে এসেছিল। এর গতিবেগ ছিল ১০.৮৬ কিমি/সেকেন্ড, এবং এর কন্ডিশন কোড ৭ উচ্চ অনিশ্চয়তার ইঙ্গিত দেয়। “এই ধরনের ছোট গ্রহাণু সনাক্ত করা চ্যালেঞ্জিং কারণ এগুলি খুবই ম্লান,” জানান জেপিএল-এর একজন গবেষক। এদিকে, ২০২৫ জেএ পৃথিবী থেকে ৫,১০,২১৬ কিলোমিটার দূর দিয়ে অতিক্রম করে, যার কন্ডিশন কোড ৫ কম অনিশ্চয়তার প্রতীক।
২০২৫ এইচজে৫ এবং ২০২৫ এইচআর১ তুলনামূলকভাবে বেশি দূরত্বে ছিল। এইচজে৫ পৃথিবী থেকে ৪১.৬ লক্ষ কিলোমিটার দূর দিয়ে গেছে, যার গতিবেগ ৭.৭৭ কিমি/সেকেন্ড এবং প্রায় তিন বছরের কক্ষপথ রয়েছে। অন্যদিকে, আমোর-শ্রেণির এইচআর১ ৪৮ লক্ষ কিলোমিটার দূরত্বে ছিল, যার কন্ডিশন কোড ৮ দূরবর্তী বস্তুর মডেলিংয়ে জটিলতার ইঙ্গিত দেয়। এই গ্রহাণুগুলির পথ বিশ্লেষণ ভবিষ্যতে সম্ভাব্য ঝুঁকি মূল্যায়নে সহায়ক হবে। “এই ধরনের কাছাকাছি উড়ান বিজ্ঞানীদের জন্য গ্রহাণুর গঠন ও গতিপথ বোঝার সুযোগ,” বলেন এক মহাকাশ গবেষক।