শশী থারুরের উপস্থিতিতে মোদীর মন্তব্য, কেরল কংগ্রেসে উত্তেজনার ইঙ্গিত

নয়াদিল্লি: শুক্রবার কেরলের বিঝিঞ্জাম আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দরের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। মোদী তাঁর বক্তৃতায় থারুরের নাম উল্লেখ করে বলেন, “আজ শশী থারুর এখানে উপস্থিত। এই অনুষ্ঠান অনেকের ঘুম কেড়ে নেবে। বার্তা যেখানে পৌঁছানোর দরকার, সেখানে পৌঁছে গেছে।” এই মন্তব্য ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে বিরল, যেখানে একজন প্রধানমন্ত্রী প্রকাশ্যে বিরোধী দলের নেতার উপস্থিতিকে এভাবে উল্লেখ করেছেন।
চারবারের সাংসদ শশী থারুর তিরুঅনন্তপুরমের প্রতিনিধিত্ব করেন, কিন্তু কেরল কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বর্তমানে তিক্ত। তিনি প্রায়ই রাজ্য কংগ্রেসের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন। সম্প্রতি তিনি রাজ্য ইউনিটে “নেতৃত্বের শূন্যতা”র কথা উল্লেখ করেন এবং দলের মধ্যে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে রাহুল গান্ধীসহ শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন। তবে এই বৈঠকগুলির কোনো ফলাফল প্রকাশ্যে আসেনি। এদিন সকালে থারুর তিরুঅনন্তপুরম বিমানবন্দরে মোদীকে স্বাগত জানান। তিনি এক্স-এ লেখেন, “দিল্লি বিমানবন্দরে বিলম্ব সত্ত্বেও সময়মতো পৌঁছে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে পেরেছি। বিঝিঞ্জাম বন্দরের উদ্বোধনের জন্য অপেক্ষায় রয়েছি, যে প্রকল্পের সঙ্গে আমি শুরু থেকে যুক্ত।”
মোদীর এই মন্তব্য এবং থারুরের দলের সঙ্গে দূরত্ব নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে। থারুর অবশ্য বলেছেন, “আমি কংগ্রেসের লক্ষ্যের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” রাহুল গান্ধীও কেরল কংগ্রেস নেতাদের একটি ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, “তারা একসঙ্গে দাঁড়িয়েছে।” তবে এই ঘটনা কেরল কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ গতিশীলতার উপর নতুন আলো ফেলেছে। বিঝিঞ্জাম বন্দরের উদ্বোধন কেরলের অর্থনীতির জন্য একটি মাইলফলক হলেও, মোদী-থারুরের এই সাক্ষাৎ রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।