পহেলগাঁও হামলায় পাক যোগ, আইএসআই-তালিবান জঙ্গি নেটওয়ার্কের ভূমিকা ফাঁস

নয়াদিল্লি: পহেলগাঁওয়ে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদে মদতের ভূমিকা ফের স্পষ্ট। পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফের স্বীকারোক্তি, “আমরা তিন দশক ধরে পশ্চিমাদের জন্য সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে আসছি,” ভারতের দীর্ঘদিনের অভিযোগকে সত্যতার মুখ দেখিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের এক সূত্র জানায়, পাকিস্তান শুধু ভারতবিরোধী কার্যকলাপেই নয়, বিশ্বজুড়ে জঙ্গি হামলার সঙ্গেও জড়িত। ২০১১ সালে অ্যাবোটাবাদে ওসামা বিন লাদেনের আশ্রয় এবং ২৬/১১ মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজ সইদের পাকিস্তানে লুকিয়ে থাকার ঘটনা এর প্রমাণ।
কেন্দ্রীয় সূত্রের দাবি, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই আফগান তালিবান, হাক্কানি নেটওয়ার্ক, জেএমবি, লস্কর-ই-তোইবা ও জয়েশ-ই-মোহাম্মদের মতো জঙ্গি গোষ্ঠীকে আর্থিক সাহায্য, প্রশিক্ষণ ও আশ্রয় দিয়ে আসছে। ২০০৮ ও ২০১১ সালে কাবুলে ভারতীয়-মার্কিন দূতাবাসে হামলা, ২০২৪ সালে মস্কোর কনসার্ট হল হামলা এবং ২০০৫ সালে লন্ডনের ধারাবাহিক বিস্ফোরণে পাকিস্তানের যোগ প্রমাণিত। বাংলাদেশে ২০১৬ সালের জেএমবি হামলাতেও আইএসআই ও পাক কূটনীতিকদের ভূমিকা ছিল। “পাকিস্তানের জঙ্গি মদত এখন কঠোর বাস্তব। তাদের প্রশিক্ষণ শিবিরে অবসরপ্রাপ্ত সেনারা আত্মঘাতী হামলার প্রশিক্ষণ দিচ্ছে,” বলেন ওই সূত্র।
পাকিস্তান বারবার অভিযোগ অস্বীকার করলেও, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ২০০৮ সালের মুম্বই হামলায় পাক সরকারের ভূমিকা স্বীকার করেছিলেন। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি পারভেজ মুশারফও কাশ্মীরে জঙ্গি গোষ্ঠীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা মেনেছিলেন। এই ঘটনাগুলো পাকিস্তানের জঙ্গি নেটওয়ার্কের সঙ্গে গভীর যোগাযোগের ইঙ্গিত দেয়। ভারত এখন কঠোর অবস্থানে, জানিয়ে দিয়েছে যে ইসলামাবাদের অজুহাতে আর ভুলবে না। পাক ভূখণ্ডে সক্রিয় জঙ্গি শিবির ও আর্থিক সাহায্যের নেটওয়ার্ক নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বাড়ছে।