জুমার দিনে পাকিস্তানের শেয়ার বাজারে ৪০ হাজার কোটির উপার্জন, ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেও স্বস্তি

জুমার দিনে পাকিস্তানের শেয়ার বাজারে ৪০ হাজার কোটির উপার্জন, ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেও স্বস্তি

ইসলামাবাদ: পহেলগাম হামলার পর পাকিস্তানের করাচি স্টক এক্সচেঞ্জে (কেএসই) প্রায় ৭,১০০ পয়েন্টের পতন দেখা গেলেও, মে মাসের প্রথম কারবারি দিনে এবং সপ্তাহের শেষ দিনে বাজারে ৩ শতাংশের বেশি উত্থানে পাকিস্তানি বিনিয়োগকারীরা ৪০ হাজার কোটি টাকার বেশি উপার্জন করেছেন। কেএসই-১০০ সূচক ১,১৪,৫৪৬.৮৮ পয়েন্টে পৌঁছে দিনের সর্বোচ্চ স্তরে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তানের কর রাজস্বে রেকর্ড বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম হ্রাস এই উত্থানের অন্যতম কারণ। করাচি স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ফারুখ খান বলেন, “কর রাজস্বের বৃদ্ধি এবং তেলের দাম কমায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরেছে।”

শুক্রবার কারবারি সেশনে কেএসই-১০০ সূচক ২,৬৮১.১১ পয়েন্ট বেড়ে ১,১৪,০১৯.৩২ পয়েন্টে বন্ধ হয়। দিনের সর্বোচ্চ সময়ে সূচক ৩,২২০.৩ পয়েন্ট বেড়ে ১,১৪,৫৪৬.৮৮ পয়েন্টে পৌঁছায়। তবে, ৩০ এপ্রিল কেএসই-১০০ সূচকে ৩,৫৪৫.৬ পয়েন্টের পতন দেখা গিয়েছিল, যা ১,১১,৩২৬.৫৮ পয়েন্টে বন্ধ হয়। পহেলগাম হামলার পর ২২ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সূচক ৭,১০৩.৭৭ পয়েন্ট কমে, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য ৬ শতাংশ ক্ষতির কারণ হয়। বিশ্লেষক আলি হাসান জানান, “ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা এখনও কমেনি। ভারতের যেকোনো পদক্ষেপ বাজারে বড় ধাক্কা দিতে পারে।” এই উত্থান সত্ত্বেও, বাজারের অস্থিরতা অব্যাহত থাকতে পারে।

এই উত্থানে কেএসই-১০০-এর বাজার মূলধন ৪৯.৬৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৫১.১০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়, যা ১.৪৩ বিলিয়ন ডলার বা ৪০ হাজার কোটি টাকার বেশি লাভ। একজন বিনিয়োগকারী, রশিদ আহমেদ বলেন, “এই লাভ আমাদের মতো সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য স্বস্তির।” অন্যদিকে, ভারতের শেয়ার বাজারেও সোমবার উত্থান দেখা গেছে। বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের সেনসেক্স ২৫৯.৭৫ পয়েন্ট বেড়ে ৮০,৫০১.৯৯ পয়েন্টে এবং ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের নিফটি ১২.৫০ পয়েন্ট বেড়ে ২৪,৩৪৬.৭০ পয়েন্টে বন্ধ হয়। তবে, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন এবং প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের কারণে উভয় দেশের বাজারে অস্থিরতার আশঙ্কা রয়ে গেছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *