“বাস, আর নয়… আসামিরা মামলায় দেরি করছে”, রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে সিবিআই-এর অভিযোগ

“বাস, আর নয়… আসামিরা মামলায় দেরি করছে”, রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে সিবিআই-এর অভিযোগ

নয়া দিল্লি: দিল্লির কথিত আবগারি নীতি কেলেঙ্কারির মামলায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারির প্রায় ১৪ মাস পরেও মামলাটি এখনও নথিপত্র যাচাইয়ের পর্যায়ে আটকে রয়েছে। রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে শুক্রবার শুনানির সময় সিবিআই-এর বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর ডিপি সিং বিশেষ বিচারক দিগ ভিনয় সিং-এর কাছে বলেন, “বাস, আর নয়… আসামিরা মামলায় দেরি করার চেষ্টা করছে।” আদালতে অভিযোগের উপর বিতর্ক এখনও শুরু হয়নি, এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর পরই বিচার শুরু হবে। এই মামলায় সিবিআই ও ইডি-র দুর্নীতি এবং মানি লন্ডারিং অভিযোগে সব আসামিই জামিন পেয়েছেন। তবে, গত বছরের তুলনায় মামলার অগ্রগতি একই স্থানে থমকে রয়েছে।

সিবিআই অভিযোগ করেছে, আসামিরা পৃথক পৃথক আবেদন দাখিল করে মামলার শুনানিতে দেরি করছে। আদালতের তথ্য অনুযায়ী, ৩১ জন আসামি মোট ১৩৫টি আবেদন দাখিল করেছেন। আসামিরা দাবি করছেন, তদন্তকারী সংস্থা কিছু নথি লুকিয়েছে, যা তাদের খালাসে সহায়ক হতে পারে। ডিপি সিং বলেন, “যদি আসামিরা মনে করেন আমরা ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু নথি লুকিয়েছি, তাহলে তারা এ বিষয়ে আবেদন করেননি কেন? তাদের কাছে আইনি পথ খোলা রয়েছে।” তিনি আরও জানান, কিছু ফোন ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে, তাই সেগুলো দেওয়া সম্ভব হয়নি। আদালত ২২ মে-র মধ্যে অপ্রমাণিত নথির তালিকা সরবরাহের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

অন্যদিকে, আসামিরা দেরির জন্য সিবিআই-কে দায়ী করেছে। আসামি অমনদীপ সিং-এর আইনজীবী দাবি করেন, সিবিআই একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি লুকিয়েছে, যা তাঁর মক্কেলের খালাসে সহায়ক হতে পারে। তিনি বলেন, “পাঁচটি চার্জশিটে আমার বিরুদ্ধে মাত্র পাঁচটি অনুচ্ছেদ রয়েছে। গবেষক হরিরাম খত্রির বিবৃতি পরস্পরবিরোধী, এবং একটি ইমেল থেকে জানা যায় তিনি মিথ্যা বলছেন।” আসামি বিনোদ চৌহানের আইনজীবী বলেন, “সিবিআই-এর অ-সম্মতির কারণে দেরি হচ্ছে। আমাকে প্রতিদিন ২-৪ ঘণ্টায় নথি যাচাই করতে হয়, যা আসাম্ভব। নথির তালিকা বারবার পরিবর্তন করা হচ্ছে।” আসামিরা অপ্রমাণিত নথির সম্পূর্ণ তালিকা চেয়ে আবেদন করেছেন, সন্দেহ প্রকাশ করে নথির সঙ্গে ছেদঁছাড় হয়েছে কিনা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *