আইপিএল-এর ৫ ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, নামগুলি চমকপ্রদ

আইপিএল-এর ৫ ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, নামগুলি চমকপ্রদ

মুম্বই: আইপিএল ক্রিকেটার শিবালিক শর্মার বিরুদ্ধে সম্প্রতি রাজস্থানের জোধপুরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারিণী দাবি করেছেন, শিবালিক বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। জোধপুরের কুড়ি ভগতাসনি হাউসিং বোর্ড থানায় মামলা দায়ের হয়েছে, এবং পুলিশ যেকোনো সময় তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারে। এই ঘটনা আইপিএল মরশুমের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। শিবালিকের আগেও আইপিএল-এর বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, যারা এই খেলার প্রথম সারির তারকা। আসুন জেনে নিই এই ক্রিকেটারদের সম্পর্কে।

শোয়েব আখতারের অস্ট্রেলিয়া সফর বাতিল: পাকিস্তানের প্রাক্তন পেসার শোয়েব আখতার, যিনি কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে আইপিএল খেলেছেন, ২০০৫ সালে ধর্ষণের অভিযোগের মুখোমুখি হন। অস্ট্রেলিয়া সফরের সময় এই ঘটনা ঘটে, এবং তাঁকে মাঝপথে পাকিস্তানে ফিরতে হয়। শোয়েব দাবি করেন, একজন সতীর্থ খেলোয়াড় ও এক তরুণীর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির জেরে তিনি ফেঁসে যান। পাকিস্তান টিম ম্যানেজমেন্ট প্রকৃত অভিযুক্তের নাম গোপন রাখে, যদিও শোয়েবকে সন্দেহ করা হয়। এই ঘটনায় তাঁর সতীর্থরা তাঁকে ‘প্লেবয়’ বলে কটাক্ষ করত।

মাখায়া এনতিনির জেল ও খালাস: দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি পেসার মাখায়া এনতিনি, যিনি চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলেছেন, ১৯৯৯ সালে ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন এবং ৬ বছরের কারাদণ্ড পান। তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে হাইকোর্টে আপিল করেন। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর তাঁকে খালাস দেওয়া হয়। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটার হিসেবে তিনি ইতিহাস তৈরি করেছিলেন।

লুক পোমার্সব্যাকের গ্রেপ্তার ও মুক্তি: অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার লুক পোমার্সব্যাক, যিনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে ২০১২ সালে খেলেছিলেন, দিল্লির একটি হোটেলে এক নারীর সঙ্গে ছেড়ছাড় এবং তাঁর বাগদত্তার উপর হামলার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন। জামিনে মুক্তি পেলেও তাঁকে পাসপোর্ট জমা দিতে হয়। পরে আদালতের বাইরে সমঝোতার মাধ্যমে অভিযোগ প্রত্যাহার করা হয়।

সন্দীপ লামিছানের কারাদণ্ড থেকে খালাস: নেপালের ক্রিকেটার সন্দীপ লামিছানে, যিনি দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে খেলেছেন, ২০২২ সালে ১৮ বছর বয়সী এক তরুণীর সঙ্গে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত হন। কাঠমান্ডুতে গ্রেপ্তারের পর তিনি জামিনে মুক্তি পান। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে তাঁকে ৮ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়, কিন্তু পাটান হাইকোর্টে আপিলের পর মে ২০২৪-এ তাঁকে খালাস দেওয়া হয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *