হিজাব পরে কলেজে প্রবেশে বাধা? মেরঠের ছাত্রীর অভিযোগে ডিআইওএস-এর তদন্ত

মেরঠ: উত্তরপ্রদেশের মেরঠ জেলার থাপর নগরে অবস্থিত খালসা গার্লস ইন্টার কলেজ হিজাব ইস্যুতে বিতর্কের কেন্দ্রে উঠে এসেছে। এক ছাত্রী অভিযোগ করেছেন, হিজাব পরে কলেজে প্রবেশের চেষ্টা করায় প্রিন্সিপাল তাঁকে বাধা দিয়েছেন। এই ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (ডিআইওএস) রাজেশ কুমার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্তের জন্য কলেজের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডিআইওএস জানিয়েছেন, “একটি দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে সত্যতা যাচাই করা হবে।”
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, ছাত্রী কলেজের অফিসে বসে এক শিক্ষিকার সঙ্গে হিজাব নিয়ে তর্ক করছেন। ছাত্রী অভিযোগ করেন, শুধুমাত্র হিজাব পরার কারণে তাঁকে কলেজে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি এবং মুখ দেখাতে বলা হয়েছে, যা তাঁর কাছে অপমানজনক। এই ঘটনার প্রতিবাদে তিনি ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেন। এক্স-এ ভাইরাল পোস্টে দাবি করা হয়েছে, এটি শিক্ষার অধিকার লঙ্ঘন এবং সংবিধানের ২১এ ও ২৫ অনুচ্ছেদের বিরোধী। কলেজ প্রিন্সিপাল সতনাম কৌর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “ছাত্রী দুই শিশুর ভর্তির জন্য এসেছিলেন। শুধুমাত্র পরিচয় নিশ্চিত করতে মুখ দেখাতে বলা হয়েছিল, হিজাব খুলতে বলা হয়নি।”
কলেজ প্রশাসন দাবি করেছে, তাদের প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ধর্মের ছাত্রীরা পড়েন এবং সবার জন্য একই নিয়ম প্রযোজ্য। তারা অভিযোগ করেছে, ইচ্ছাকৃতভাবে কলেজের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে ভিডিওটি ছড়ানো হয়েছে। ডিআইওএস রাজেশ কুমার জানান, খালসা গার্লস ইন্টার কলেজ একটি সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান। তদন্তে ভিডিওর ব্যক্তিরা ছাত্রী কিনা এবং কলেজ কোনো নিয়ম ভঙ্গ করেছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হবে। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের পরই পরিস্থিতি স্পষ্ট হবে। এই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে, যেখানে শিক্ষার অধিকার ও ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে তীব্র আলোচনা চলছে।