ভারতের সামরিক শক্তি প্রদর্শনে পাকিস্তানে আতঙ্ক, পারমাণবিক হুমকির পিছনে লুকিয়ে পরাজয়ের ভয়

নয়াদিল্লি/ইসলামাবাদ: শুক্রবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর আকাশ, সমুদ্র ও স্থলভাগে অভূতপূর্ব শক্তি প্রদর্শন পাকিস্তানের মনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। উত্তরপ্রদেশের গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে ভারতীয় বিমানবাহিনীর রাফায়েল, সুখোই, জাগুয়ার, মিগ ও মিরাজের মতো ১৫টি যুদ্ধবিমান ঝড়ের মধ্যেও ৩.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রানওয়েতে ‘টাচ অ্যান্ড গো’ অভ্যাস পরিচালনা করেছে। একই সঙ্গে, আরব সাগরে ভারতীয় নৌবাহিনী অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট মিসাইল নিক্ষেপের মাধ্যমে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিয়েছে। এই শক্তি প্রদর্শনের মধ্যে ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ১,১০৭ কোটি টাকার একটি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে, যার অধীনে ভারতীয় নৌবাহিনী উন্নত সমুদ্র নজরদারি প্রযুক্তি পাবে। ভারতের এই প্রস্তুতি দেখে পাকিস্তানের ইসলামাবাদ থেকে করাচি, লাহোর থেকে রাওয়ালপিন্ডি পর্যন্ত হতাশা ও আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
পাকিস্তানের মন্ত্রী ও সামরিক কর্মকর্তারা বারবার পারমাণবিক হামলার হুমকি দিচ্ছেন। পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো বলেন, “আমাদের সেনাবাহিনী যেকোনো হামলার জবাব দেবে।” মরিয়ম নওয়াজ দাবি করেন, “আল্লাহর কৃপায় পাকিস্তান একটি পারমাণবিক শক্তি।” মন্ত্রী হানিফ আব্বাসি হুমকি দিয়ে বলেন, “গৌরী, শাহিন, গজনবী মিসাইলগুলো ভারতের জন্যই রাখা হয়েছে।” তবে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ স্বীকার করেছেন, “পারমাণবিক হামলা হবে না, কারণ তাতে উভয় দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে।” পাকিস্তানের এই হুমকির পিছনে ভারতের সামরিক শ্রেষ্ঠত্বের ভয় স্পষ্ট। পাকিস্তান জানে, প্রচলিত যুদ্ধে ভারতের কাছে তার পরাজয় অনিবার্য। বিশ্ব সামরিক শক্তির তালিকায় ভারত চতুর্থ, পাকিস্তান ৯ম। ভারতের প্রতিরক্ষা বাজেট ৭৫ বিলিয়ন ডলার, পাকিস্তানের মাত্র ৭ বিলিয়ন।
পাকিস্তানের ভয় আরও বাড়িয়েছে ভারতের কৌশলগত প্রস্তুতি। পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে (পিওকে) দুই মাসের রসদ জমা করার বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। করাচি ও লাহোরের আকাশসীমা বন্ধ করে এক মাসের জন্য ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। পাকিস্তানি সাংবাদিক রউফ ক্লাসরা বলেন, “ভারতীয় সেনাবাহিনী অত্যন্ত শক্তিশালী, পাকিস্তান তার মুখোমুখি হতে পারবে না।” এনবিসি রিপোর্ট অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র দখলের জন্য গোপন পরিকল্পনা তৈরি করেছে। এই পরিকল্পনায় ১০টি পরিস্থিতি উল্লেখ করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র সন্ত্রাসীদের হাতে পড়ার আশঙ্কা, অভ্যুত্থান, গৃহযুদ্ধ বা ভারতের উপর সম্ভাব্য হামলা।
পাকিস্তানের পারমাণবিক হুমকি কেবল তার দুর্বলতার প্রকাশ। ভারতের কাছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি রয়েছে, যা পাকিস্তানের কৌশলগত পারমাণবিক হামলা প্রতিহত করতে সক্ষম। পাকিস্তানি বিশ্লেষক জাভেদ চৌধুরী দাবি করেছেন, “সেনাপ্রধান আসিম মুনির মানসিকভাবে অসুস্থ, তিনি হার এড়াতে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারেন।” এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের পারমাণবিক হুমকি কেবল তার ধ্বংসের পথ প্রশস্ত করছে। ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্মিলিত কৌশল এই হুমকি নির্মূল করতে প্রস্তুত।