অন্ডমান-নিকোবর কমান্ডের নতুন কমান্ডার লেফটিনেন্ট জেনারেল ডি.এস. রাণা, হিন্দ মহাসাগরে বাড়বে ভারতের শক্তি

ভারতের কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ অন্ডমান ও নিকোবর কমান্ড (এএনসি) নতুন নেতৃত্ব পেয়েছে। লেফটিনেন্ট জেনারেল ডি.এস. রাণা, যিনি সম্প্রতি রক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা (ডিআইএ)-এর মহাপরিচালক ছিলেন, তাঁকে এএনসি-র পরবর্তী কমান্ডার-ইন-চিফ নিযুক্ত করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বরাতে জানা গেছে, তিনি আগামী ১ জুন থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। এয়ার মার্শাল সাজু বালাকৃষ্ণনের স্থলাভিষিক্ত হয়ে রাণা এই কমান্ডের ১৮তম প্রধান হবেন। হিন্দ মহাসাগরের নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ এই ত্রি-সেবা কমান্ডে তাঁর নিয়োগ ভারতের কৌশলগত লক্ষ্যকে আরও শক্তিশালী করবে।
২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত অন্ডমান ও নিকোবর কমান্ড ভারতের একমাত্র ত্রি-সেবা কমান্ড, যেখানে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর সম্পদ ও জনবল একত্রে কাজ করে। মালাক্কা প্রণালীর নিকটে অবস্থিত এই কমান্ড বিশ্ব বাণিজ্য ১০০ শতাংশ শক্তির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একজন সেনা কর্মকর্তা বলেন, “ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে এএনসি-র ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” রাণার নেতৃত্বে এই কমান্ড আরও কার্যকরভাবে ভারতের সমুদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
লেফটিনেন্ট জেনারেল ডি.এস. রাণা একজন অভিজ্ঞ সেনা কর্মকর্তা, যিনি চীনের সামরিক কৌশল নিয়ে গভীর গবেষণার জন্য পরিচিত। মেজর জেনারেল হিসেবে তিনি ৭১ মাউন্টেন ডিভিশনের জিওসি ছিলেন এবং পরে সেনা সদরে প্রোভোস্ট মার্শাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি রক্ষা মন্ত্রণালয়ে মহাপরিচালক স্টাফ ডিউটি হিসেবেও কাজ করেছেন। চীনের সামরিক কূটনীতি নিয়ে তাঁর গবেষণা, বিশেষত জাতীয় রক্ষা মহাবিদ্যালয়ে এম.ফিল থিসিস, ভারতীয় সেনার থিঙ্ক ট্যাঙ্ক দ্বারা প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বলেন, “চীনের সামরিক পুনর্গঠন ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।”
রাণা তেজপুরের ডিফেন্স রিসার্চ ল্যাবের সঙ্গে উত্তর-পূর্বে সৈন্যদের কার্যক্ষমতা বাড়াতে গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন। আইআইটি গুয়াহাটির সঙ্গেও তিনি গবেষণা সহযোগিতা গড়ে তুলেছেন। তাঁর অভিজ্ঞতা এবং দূরদৃষ্টি অন্ডমান ও নিকোবর কমান্ডকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।