গ্রীষ্মের ছুটিতে মানালি যাচ্ছেন? তাহলে এই ৫ জনপ্রিয় ক্যাফের খাবার অবশ্যই চেখে দেখুন

গ্রীষ্মের ছুটিতে মানালি যাচ্ছেন? তাহলে এই ৫ জনপ্রিয় ক্যাফের খাবার অবশ্যই চেখে দেখুন

মানালি এমন একটি হিল স্টেশন, যেখানে সারা বছরই পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। শীতকালে তুষারপাতের মজা নিতে মানুষ এখানে আসেন, আর গ্রীষ্মকালে উপত্যকার মাঝে গরম থেকে মুক্তি পেতে এখানে পৌঁছান। সব মিলিয়ে মানালি এখন পর্যটকদের জন্য একটি নিখুঁত গন্তব্য হয়ে উঠেছে। এই কারণেই এখানে সারা বছরই বেশ ভিড়ভাট্টা দেখা যায়। মানালিতে কেনাকাটা থেকে শুরু করে থাকার জন্য দারুণ সব স্টে রয়েছে। তবে মানালি তার সুন্দর ক্যাফেগুলির জন্যও বিখ্যাত। যদি আপনি মল রোডের আশপাশে ঘুরতে ঘুরতে সুস্বাদু খাবারের খোঁজে থাকেন, তাহলে এখানকার পাঁচটি ক্যাফে আপনার ভ্রমণকে আরও স্মরণীয় করে তুলতে পারে। চলুন জেনে নিই মানালির শীর্ষ ৫ ক্যাফে সম্পর্কে, যেখানকার খাবার আপনাকে এগুলির ভক্ত করে তুলবে।

১. জনসন ক্যাফে অ্যান্ড হোটেল
মল রোড থেকে মাত্র ০.৩ কিমি দূরে অবস্থিত এই ক্যাফে তার অসাধারণ পরিবেশের জন্য পরিচিত। মানালির ঠান্ডা হাওয়া ও সবুজ দৃশ্যের মাঝে অবস্থিত এই ক্যাফে কাঠের ইন্টিরিয়র এবং মোমবাতির আলোয় অত্যন্ত মনোরম লাগে। হিমাচলি এবং কন্টিনেন্টাল খাবারের সুগন্ধ এখানকার বিশেষত্ব। বিশেষ করে এখানকার কাঠের ওভেনে তৈরি পিজ্জা এবং ঝকঝকে পানীয় একবার অবশ্যই চেখে দেখার মতো। “এখানকার পরিবেশ এবং খাবার আমাদের সন্ধ্যাকে অবিস্মরণীয় করে তুলেছে,” বলেন নিয়মিত দর্শক রাহুল শর্মা।

২. চপস্টিক্স রেস্তোরাঁ
যদি আপনি চাইনিজ বা তিব্বতি খাবারের স্বাদ পছন্দ করেন, তাহলে মল রোডে অবস্থিত এই ক্যাফে আপনার জন্য আদর্শ। চপস্টিক্স তার সাধারণ সেটিং এবং সুস্বাদু খাবার যেমন নুডলস, থুকপা এবং মোমোর জন্য বিখ্যাত। মল রোডের ভিড়ের মাঝে আরাম করে বসে এখানে আপনি সাশ্রয়ী এবং স্বাদযুক্ত খাবার উপভোগ করতে পারেন। “মোমো এবং থুকপার স্বাদ আমাকে বারবার এখানে ফিরে আসতে বাধ্য করে,” বলেন স্থানীয় পর্যটক প্রিয়া সিং।

৩. ক্যাফে ১৯৪৭
মল রোড থেকে প্রায় ৫ কিমি দূরে বিয়াস নদীর তীরে অবস্থিত এই ক্যাফে তার অপূর্ব দৃশ্যের জন্য বিখ্যাত। শান্তি, সঙ্গীত এবং ইউরোপীয় স্বাদের প্রেমীদের জন্য এটি একটি দুর্দান্ত পছন্দ। এই রিভারসাইড ক্যাফে শুধু খাবারের জন্য নয়, তার মিউজিক্যাল পরিবেশ এবং অনন্য সাজসজ্জার জন্যও জনপ্রিয়। এখানকার ইটালিয়ান পিজ্জা, পাস্তা এবং লাইভ মিউজিক আপনার সন্ধ্যাকে বিশেষ করে তুলবে। “নদীর ধারে বসে পিজ্জা খাওয়ার অভিজ্ঞতা অসাধারণ,” বলেন দর্শক সৌরভ দাস।

৪. ইল ফোর্নো
মল রোড থেকে ১.২ কিমি দূরে অবস্থিত এই ক্যাফে একটি পুরনো ইটালিয়ান বাড়িকে রেস্তোরাঁয় রূপান্তরিত করে তৈরি। কাঠের তন্দুরে তৈরি পিজ্জা এবং সুস্বাদু পাস্তা এখানকার প্রতিটি খাবার মন ছুঁয়ে যায়। শান্ত পরিবেশে পাহাড়ের মাঝে ইটালির স্বাদ উপভোগ করা যায়। “ইল ফোর্নোর পিজ্জা খেয়ে মনে হয় ইটালিতে বসে আছি,” বলেন পর্যটক মেঘা ভাটিয়া।

৫. লেজি ডগ লাউঞ্জ
মল রোড থেকে ২ কিমি দূরে নদীর তীরে অবস্থিত এই ক্যাফে একটি ভিন্ন পরিবেশ উপহার দেয়। এখানে আরামদায়ক মাহৌল এবং সুস্বাদু খাবার পাওয়া যায়। ভারতীয় মশলার পাশাপাশি কন্টিনেন্টাল স্বাদও উপভোগ করা যায়। ককটেল, বার্গার, স্টেক এবং লাইভ মিউজিকের সঙ্গে পাহাড়ের দৃশ্য আপনার ক্লান্তি দূর করে দেবে। “এখানকার বার্গার এবং লাইভ মিউজিক আমার মানালি ভ্রমণকে অবিস্মরণীয় করে তুলেছে,” বলেন দর্শক অঙ্কিত রায়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *