অযোধ্যায় শত্রু সংহার যজ্ঞে সন্তদের হুঙ্কার: পাকিস্তানের জবাব, সন্ত্রাসের সর্বনাশ

অযোধ্যায় শত্রু সংহার যজ্ঞে সন্তদের হুঙ্কার: পাকিস্তানের জবাব, সন্ত্রাসের সর্বনাশ

অযোধ্যা, ৩ মে ২০২৫: রামনগরী অযোধ্যায় আধ্যাত্মিকতা ও জাতীয়তাবাদের অপূর্ব সমন্বয়ে আবারও এক শক্তিশালী বার্তা প্রতিধ্বনিত হয়েছে। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যে দেশের নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসবাদের সম্পূর্ণ ধ্বংসের জন্য তপস্বী ছাবনীতে এক ভব্য হবন-পূজন ও ‘শত্রু সংহার মহাযজ্ঞ’ আয়োজিত হয়েছে। জগৎগুরু পরমহংস আচার্য জি মহারাজের নেতৃত্বে এই অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত সন্ত-মহাত্মা ও বৈদিক আচার্যরা অংশ নিয়েছেন। বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণ, আহুতির অগ্নি এবং সন্তদের দৃঢ় সংকল্প একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে—সন্ত্রাসের অবসান এখন অনিবার্য, ভারতের জয় নিশ্চিত।

‘শত্রু সংহার মহাযজ্ঞ’-এ ভারতীয় সেনাবাহিনীর অপরাজেয়তা, সন্ত্রাসবাদের বিনাশ এবং পাকিস্তানের অপকর্মের অবসানের জন্য প্রার্থনা করা হয়। জগৎগুরু পরমহংস আচার্য জি বলেন, “এই যজ্ঞ শুধু আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য নয়, এটি জাতীয় নিরাপত্তার আধ্যাত্মিক কবচ।” তিনি পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “ভারতের শান্তি নষ্ট করার চেষ্টা করলে কেবল সেনাবাহিনী নয়, সনাতন ধর্মের শক্তিও জবাব দেবে।” তাঁর মতে, এখন সময় এসেছে তপ, ত্যাগ এবং যজ্ঞের শক্তির মাধ্যমে জাতির প্রতিরক্ষার। বৈদিক পণ্ডিতরা মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে ভারতীয় সেনার বিজয়, সন্ত্রাসের মূলোৎপাটন এবং বিশ্বে শান্তি ও মানবতার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রার্থনা করেন।

এই অনুষ্ঠানে সাধারণ ভক্তদেরও ব্যাপক উপস্থিতি ছিল। তাঁরা যজ্ঞে আহুতি দিয়ে দেশের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসের বিনাশের জন্য প্রার্থনা করেন। “অযোধ্যা সবসময় জাতির সংকটে সমাধানের পথ দেখিয়েছে। শ্রীরামের এই ধরতী থেকে আজ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সংগ্রামের বার্তা উঠছে,” বলেন স্বামী বিশ্বেশ্বরানন্দ, একজন অংশগ্রহণকারী সন্ত। পরমহংস আচার্য জি শেষে জানান, এই যজ্ঞ একটি সূচনা মাত্র। “যতক্ষণ না সন্ত্রাস সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়, সন্ত সমাজ নীরব থাকবে না,” বলেন তিনি। অযোধ্যা থেকে উঠে আসা এই আধ্যাত্মিক অগ্নি এখন দেশকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *