ইলেকট্রিক টু-হুইলার (ই২ডব্লিউ) বাজারে ঐতিহ্যবাহী সংস্থাগুলোর দাপটে স্টার্টআপ কো ম্পা নিগুলোর অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে। বাজাজ অটোর এমডি রাজীব বাজাজ কয়েক বছর আগে বলেছিলেন, “ওলা, এথারের মতো নতুন খেলোয়াড়দের আমরা সকালের নাস্তার মতো গিলে ফেলব।” ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস এপ্রিলের বিক্রির পরিসংখ্যান তার কথাকে সত্যি প্রমাণ করছে। এপ্রিলে মোট ৯১,৭৯১টি ইলেকট্রিক টু-হুইলার বিক্রি হয়েছে, যা গত বছরের এপ্রিলের ৬৬,৮৭৮ ইউনিটের তুলনায় ৪০% বৃদ্ধি। তবে, ওলা ও এথারের মতো প্রায় ২০টি স্টার্টআপকে মাত্র পাঁচটি ঐতিহ্যবাহী কো ম্পা নির কাছে কঠিন প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

টিভিএস মোটর এপ্রিলে ১৯,৭৩৬টি আইকিউব বিক্রি করে শীর্ষে উঠে এসেছে, ২২% বাজার হিস্যা নিয়ে। বাজাজ অটোর চেতক ১৯,০০১ ইউনিট বিক্রি করে তৃতীয় স্থানে, যদিও এটি আগে একাধিকবার শীর্ষে ছিল। হিরো মোটোকর্পের ভিডা স্কুটার ৬,১২৩ ইউনিট বিক্রি করেছে, এবং গ্রিভস ইলেকট্রিক ও কাইনেটিক গ্রিন মিলে ৪,৩০০ ইউনিট। এই পাঁচটি ঐতিহ্যবাহী কো ম্পা নি মিলে ৫০,১৬৬ ইউনিট বিক্রি করেছে, যা মোট বিক্রির ৫৫%। “এক বা দুটি পণ্য নিয়েই আমরা স্টার্টআপদের টেক্কা দিচ্ছি,” বলেছেন টিভিএসের এক মুখপাত্র।

অন্যদিকে, স্টার্টআপ কো ম্পা নিগুলোর অবস্থা শোচনীয়। ওলা ইলেকট্রিক ১৯,৭০৯ ইউনিট বিক্রি করে দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও, এর বাজার হিস্যা গত বছরের ৩৫% থেকে কমে ২১% হয়েছে। এথার এনার্জি ১৩,১৬৭ ইউনিট বিক্রি করেছে, যেখানে হিরো মোটোকর্পের বিনিয়োগ রয়েছে। পিওর এনার্জি, রিভার মোবিলিটি, রিভোল্ট মোটরস, ওডিসি ইলেকট্রিকের মতো প্রায় ২০টি স্টার্টআপ মিলে ৩৮,৩৮৬ ইউনিট বিক্রি করেছে, যার মধ্যে অনেক কো ম্পা নির বিক্রি ১০০ ইউনিটও ছাড়ায়নি। “ইলেকট্রিক বাজারে টিকে থাকতে গেলে শক্তিশালী ব্র্যান্ড ও নেটওয়ার্ক দরকার,” বলেছেন অটো বিশ্লেষক সুজিত চৌধুরী। বাজাজ ও টিভিএসের আক্রমণাত্মক কৌশল এবং নতুন মডেল যেমন চেতক ৩৫০৩ ও আইকিউবের চাহিদা স্টার্টআপদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।